বাংলাহান্ট ডেস্ক: কূটকাচালি, হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ যতই উঠুক না কেন, সিনেমা সিরিয়াল থেকে ভিলেনের (Villain) চরিত্র কখনোই বাদ পড়বে না। নায়ক নায়িকার পর খলনায়ক বা খলনায়িকারই সবথেকে বেশি গুরুত্ব থাকে ছবি বা সিরিয়ালে। আর বাংলা সিনেমার সর্বাধিক জনপ্রিয় খলনায়িকার প্রসঙ্গ বললে সর্বাগ্রে একজনের নামই উঠে আসবে, অনামিকা সাহা (Anamika Saha)।
ক্রু্রতা ভরা দৃষ্টি, তীক্ষ্ণ কণ্ঠস্বর টলিউডে খলনায়িকা বলতেই একজনই ছিলেন সবথেকে বেশি ডিমান্ডে। অনামিকা সাহার ‘বিন্দু মাসি’কে কেই বা ভুলতে পেরেছে? নায়ক নায়িকা বাদ দিয়ে খলনায়িকাকে নিয়েও যে এতটা মাতামাতি সম্ভব তা দেখিয়ে দিয়েছিলেন অনামিকা সাহা। বিভিন্ন ধরণের চরিত্রে অভিনয় করলেও তাঁকে সাফল্যের চূড়ায় তুলেছিল নেতিবাচক চরিত্র।
সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে অনামিকা জানান, এখনো গ্রামেগঞ্জে গেলে শয়ে শয়ে লোক মুখস্থ বলে তাঁর সংলাপ। একটা সংলাপ বললে সঙ্গে সঙ্গে বলে দিতে পারে ছবির নাম। খলনায়িকা হয়ে এই জনপ্রিয়তা, সম্মান অর্জন করেছেন তিনি।
তবে অনামিকার মতে, তাঁর পরে আর কোনো অভিনেত্রীই খলনায়িকার চরিত্রকে সেই পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারেননি। শুধু চোখ পাকিয়ে আর ঝাঁঝিয়ে কথা বললেই সেটা নেতিবাচক চরিত্র হয়ে যায় না, বক্তব্য অনামিকা সাহার। পাশাপাশি এখনকার সিরিয়ালের পরিচালকদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনেছেন তিনি।
তাঁর মতে, এখন সিরিয়াল পরিচালকদের মধ্যে নিষ্ঠা, অভিনয় সম্পর্কে জ্ঞানের অভাব। তারা শুধু স্ক্রিপ্ট হাতে ধরিয়ে দিয়ে মুখস্থ করতে বলে। এই জন্য নাকি ‘আলো ছায়া’ সিরিয়ালে অভিনয় করার পর তিনি আর করেননি। এখন ‘লালকুঠি’ সিরিয়ালে অভিনয় করছেন বটে। তবে ঠাম্মি চরিত্রটিকে খুব সাদামাটা বলেই মন্তব্য করেন অনামিকা সাহা।