বাংলাহান্ট ডেস্ক: দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে (South Film Industry) নব সূর্যোদয়ের পর থেকে নিত্য নতুন চমক প্রকাশ্যে আসছে দর্শকদের জন্য। একদিকে বলিউড টলিউডে যখন একের পর এক ছবি বয়কটের ডাক, তখন দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে আসতে চলেছে বাঙালির গৌরব সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র (Bankim Chandra Chatterjee) রচিত ‘আনন্দমঠ’ (Anandamath)।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অমর সৃষ্টি ‘আনন্দমঠ’ নিয়ে ছবি তৈরি হতে চলেছে সুদূর দক্ষিণে। এ খবর আমরা আগেই জানিয়েছিলাম পাঠকদের। এবার প্রকাশ্যে এল ছবির প্রথম ঝলক। উপন্যাসটি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা পালন করেছিল। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডাক দিয়েছিল এই উপন্যাস।
আনন্দমঠই প্রথম ‘বন্দে মাতরম’ ধ্বনির সঙ্গে পরিচয় করিয়েছিল ভারতীয়দের। এ উপন্যাস বাঙালির অনেক গর্বের। সেই কাহিনি স্থান পাবে দক্ষিণী ছবির পর্দায়, তৈরি করবেন খ্যাতনামা সব চলচ্চিত্র নির্মাতারা, বাঙালি হিসাবে এ অত্যন্ত গর্বের বিষয় তাতে সন্দেহ নেই।
ছবির নাম ঠিক করা হয়েছে ‘১৭৭০’। গত ৮ এপ্রিল সাহিত্যসম্রাটের ১২৮ তম মৃত্যু বার্ষিকীতেই প্রকাশ্যে এসেছিল এই খবর। ছবির চিত্রনাট্য লেখার দায়িত্ব নিয়েছেন কে ভি বিজয়েন্দ্র প্রসাদ (K V Vijayendra Prasad), যার কলম থেকে সৃষ্টি হয়েছে বাহুবলী, বজরঙ্গি ভাইজান এবং সাম্প্রতিক আর আর আর এর মতো ছবি।
বিজয়েন্দ্র প্রসাদের আরো একটি পরিচয় রয়েছে। তিনি বাহুবলী তথা আর আর আর পরিচালক এস এস রাজামৌলির বাবা। ছবিটি পরিচালনা করবেন রাজামৌলির সহকারী অশ্বিন গঙ্গারাজু, যিনি বাহুবলী ছবিতেও কাজ করেছিলেন। ছবি নির্মাতা রামকমল মুখার্জি।
একাধিক ভারতীয় ভাষায় মুক্তি পাবে ছবিটি। হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মালয়ালম, কন্নড় এবং বাংলা ভাষাতেও তৈরি হবে ছবি। দশেরার আগেই ছবির অভিনেতা অভিনেত্রীদের বেছে নেওয়া হবে আর ঘোষনা হবে দিওয়ালির সময়ে। ততদিন অপেক্ষা।
Based on #BankimChandraChatterjee's #Bengali novel #Anandamath… #VVijayendraPrasad is writing the adapted story and screenplay of #1770TheMovie… Author and film-maker #RamKamalMukherjee is the creator. pic.twitter.com/eDbt6vvN6P
— taran adarsh (@taran_adarsh) August 17, 2022
প্রখ্যাত চিত্রনাট্যকার বলেন, “সত্যি কথাই বলছি, আমার মনে হয়নি যে এই প্রজন্ম উপন্যাসের বিষয়বস্তুর সঙ্গে একাত্ম হতে পারবে বলে। কিন্তু যখন আমি রাম কমলের সঙ্গে কথা বলি আর ও আমাকে ওর দৃষ্টিভঙ্গিটা বলে। তখন আমি দেখি যে ওর দৃষ্টিকোণটা একেবারে আলাদা। সেটা অনেকটাই বাণিজ্যিক এবং মানুষের ভাবাবেগের সঙ্গে যুক্ত ছিল।”
বিজয়েন্দ্র প্রসাদ জানান, আরো কিছুটা আলোচনার পর অবশেষে নতুন রকম ভাবে আনন্দমঠের চিত্রনাট্য লিখতে চলেছেন তিনি। তবে বিষয়টা তাঁর কাছে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের। কারণ উপন্যাসটা তো আর যে সে নয়। স্বয়ং বঙ্কিমচন্দ্রের লেখা আনন্দমঠ।