বাংলা হান্ট ডেস্ক: বুধবার জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন ভারতের মোট তিনজন। যার মধ্যে দুই সেনা কর্তা এবং একজন পুলিশ আধিকারিক রয়েছেন। পাকিস্তানে (Pakistan) অবস্থিত লস্কর-ই-তৈয়বার সঙ্গে যুক্ত একটি জঙ্গি সংগঠন রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) এই সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করেছে। দেশজুড়ে এই ঘটনায় শোক নেমে এসেছে। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২০১৬ সালে বুরহান ওয়ানিকে নিকেশ করা ভারতীয় জওয়ান মনপ্রীত সিং-ও। ঘটনা জেরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হচ্ছে, দাহ করা হচ্ছে কুশপুতুল।
এদিকে তিনজনকে খতম করা দুই জঙ্গিকে ঘিরে ফেলেছে সেনা (Indian Army)। কাশ্মীর রেঞ্জের পুলিশ একটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে লিখেছে, ‘কর্নেল মনপ্রীত সিং (Manpreet Singh), মেজর আশিস ধনচক এবং ডিএসপি হুমায়ুন ভাটের অটল বীরত্বের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন জানাই। এই অপারেশন চলাকালীন সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে তাঁরা তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমাদের বাহিনী উজয়র খান-সহ দুই লস্কর সন্ত্রাসীকে ঘিরে ফেলেছে।’
এদিকে এই ঘটনার জেরে পিছু করতে শুরু করেছে পাকিস্তান। বিমান হামলার আশঙ্কায় পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে (Kashmir) কিছু সন্ত্রাসী শিবির পিছু হাঁটতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, এই সন্ত্রাসী শিবিরগুলি এলওসির কাছে লঞ্চ প্যাডের দিকে চলে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সন্ত্রাসী শিবিরগুলি সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পদক্ষেপ থেকে তাদের বাঁচানো। এরই মধ্যে কেউ কেউ ইতিমধ্যেই সন্ত্রাসী ক্যাম্পে চলে গিয়েছে।
এদিকে জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) সক্রিয় রয়েছে। এবং জম্মু-কাশ্মীরে তাদের সক্রিয় সন্ত্রাসীদের ভারতীয় বাহিনীর ওপর বড় ধরনের হামলা চালানোর জন্য চাপ দিচ্ছে। সূত্র মারফত খবর পাওয়া যাচ্ছে যদি তারা ভারতীয় বাহিনীর উপর আঘাত আনতে না পারে, তাহলে পাকিস্তান যে তাদের অর্থ সহায়তা করছে, তা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।