মানিকের মতোই হাল তার স্ত্রী-পুত্রের! দুর্নীতির দায়ে সপরিবারে জেলে TMC বিধায়ক

বাংলা হান্ট ডেস্ক : এত কান্নাকাটি করেও লাভ কিছু হল না। আদালতের মধ্যে রীতিমতো হাত জড় করে পরিবারকে ছেড়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। কিন্তু বৃথাই গেল তাঁর সমস্ত চেষ্টা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য (Satarupa Bhattacharya) ও পুত্র সৌভিক ভট্টাচার্যকে (Souvik Bhattacharya) শেষ পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতেরই নির্দেশ দিলেন ইডি আদালতের বিচারক।

আজ বুধবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। এদিন মানিকের স্ত্রী ও ছেলে জামিনের আর্জিও জানিয়েছিলেন আদালতে। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায়। আদালত থেকে বের করে আপাতত জেলেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাঁদের। মানিকের ছেলে সৌভিককে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে প্রেসিডেন্সি জেলে। সেখানেই রয়েছেন মানিক। আর মানিকের স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আলিপুর সংশোধনাগারে, যেখানে রয়েছে নিয়োগ মামলার আর এক অভিযুক্ত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।

এদিন আদালতে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি জানায়, মানিকের স্ত্রী শতরূপার সঙ্গে এক মৃত ব্যক্তির যৌথ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেই অ্যাকাউন্টে নিয়োগ দুর্নীতির লক্ষ লক্ষ টাকা পাচার করা হয়েছে। মানিকের ছেলে শৌভিক ২০১৭ সালে ২ বার লন্ডন যান। প্রথমে লন্ডন যাত্রা কথা গোপন করেন তিনি। পরে পাসপোর্ট দেখিয়ে তাঁকে বিদেশযাত্রার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি গোয়েন্দাদের বলেন, পড়াশুনো করতে লন্ডনে গিয়েছিলেন।

manik bhattyacharya

প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত ৭ জানুয়ারি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ও ছেলে শৌভিক। ইডির চার্জশিটে নাম রয়েছে এই ২ জনেরই। সঙ্গে শৌভিকের ২টি সংস্থাও দুর্নীতিতে যুক্ত বলে চার্জশিটে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।

এদিন ইডির আইনজীবী বলেন, অভিযুক্তরা নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে গভীর ভাবে জড়িত। তারা সমস্তই জানতেন। এদের জন্য হাজার হাজার যোগ্য যুবক যুবতীর সঙ্গে বছরের পর বছর বঞ্চনা হয়েছে। শুধু তাই নয়, গ্রাম গ্রামান্তরে যে সব শিশুরা মাইলের পর মাইল হেঁটে স্কুলে পৌঁছয় তাদের সঙ্গেও প্রতারণা করেছেন অভিযুক্তরা।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর