বদলে যাচ্ছে তিন দশকের পুরনো নিয়ম! বিরাট পদক্ষেপ অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের 

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অন্ধ্রপ্রদেশে (Andhra Pradesh) বদলে যেতে চলেছে প্রায় তিন দশক ধরে চলে আসা নিয়ম। নতুন বিল আইনে পরিণত হলেই বদলে যাবে সেই ১৯৯৪ সাল থেকে প্রায় ৩ দশক ধরে চলে আসা নিয়ম। নতুন নিয়ম অনুযায়ী পঞ্চায়েত এবং পুরভোটে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে অন্ধ্রপ্রদেশে আসতে চলেছে বিরাট বদল। সোমবার অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) বিধানসভায় পাশ হয়েছে দুটি বিল।

অন্ধ্রপ্রদেশে (Andhra Pradesh) বদলে যাচ্ছে প্রায় তিন দশকের পুরনো নিয়ম

যার মধ্যে একটি অন্ধ্রপ্রদেশ (Andhra Pradesh) পঞ্চায়েত রাজ (সংশোধনী) বিল, ২০২৪ এবং অপরটি অন্ধ্রপ্রদেশ পুরসভা আইন (সংশোধনী) বিল। এখান শুধু এই বিল আইনে পরিণত হওয়ার অপেক্ষা। তাহলেই বদলে যাবে ১৯৯৪ সাল থেকে চলে নিয়ম। এখন প্রশ্ন হল কি সেই নতুন নিয়ম? আসলে অন্ধ্রপ্রদেশে দুইয়ের অধিক সন্তান থাকলে পঞ্চায়েত কিংবা পুরসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা যায় না.  এবার এই নিয়মেই বদল আনতে চলেছে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্য সরকার।

প্রসঙ্গত  জনসংখ্যার ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতে ১৯৯৪ সালে তৎকালীন কংগ্রেস শাসিত সরকার অন্ধ্রপ্রদেশের বিধানসভায় ‘দুই সন্তান বিধায়ক’ বিল পাস করেছিল। সেই সময় থেকেই সন্তান থাকলে অন্ধপ্রদেশের পুরসভা কিংবাপঞ্চায়েত নির্বাচনে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারতেন না। এবার সেই নিয়ম তুলে দেওয়া হচ্ছে  .

আরও পড়ুন: লটারি কেলেঙ্কারিতে মোটা টাকা উদ্ধার করল ED! অভিযুক্ত সংস্থা তৃণমূলকে দিয়েছিল ৫৪০ কোটি

সব ঠিক থাকলে চন্দ্রবাবু নাইডুর নেতৃত্বাধীন টিডিপি সরকার এই নিয়মে বদল আনবে খুব তাড়াতাড়ি। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই এই  নিয়মে বদল আনার পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু। গত ৭’ই আগস্ট মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই নিয়ম বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।

Andhra Pradesh

রাজ্যের জনসংখ্যায় ভারসাম্য রাখতে এবং অর্থ সামাজিক প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করেই ৩ দশক ধরে চলে আসা নিয়মে বদলের প্রয়োজন মনে করেছেন তিনি। এদিনের বৈঠকের পর অন্ধপ্রদেশের জনসংযোগ মন্ত্রী  কোলুসু পার্থসারথি বলেছিলেন সারা দেশের মাথা মহিলা পিছু প্রসবের হারের তুলনায় অন্ধপ্রদেশের সংখ্যাটা অনেক কম। এখানে বলে রাখি সারা দেশের মহিলা পিছু প্রসবের হার ২.১১। সেখানে অন্ধ্রপ্রদেশে মহিলাদের প্রসবের হার ১.৫।

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর