বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: আগের ম্যাচে আরসিবির বিরুদ্ধে বিশ্ৰী বোলিংয়ের জন্য সমর্থকদের রোষের শিকার হয়েছিলেন। এই ম্যাচে পুষিয়ে দিলেন। কেকেআর বোলাররা পাঞ্জাবকে ১৩৭ এ আটকানোর পর মাঝপথে পরপর কিছু উইকেট হারানোর পরে একটু চাপে ছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। যাবতীয় চাপ আরব সাগরের জলে ছুড়ে ফেলে ৫ ওভারের বেশি হতে রেখে ২টি চার ও ৮টি ছয়ের সাহায্যে ৩১ বলে ৭০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে নাইটদের জয় এনে দিলেন ক্যারিবিয়ান অতিমানব আন্দ্রে রাসেল।
আজ টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিতে দুবার ভাবেননি শ্রেয়স। শুরুতেই বিপক্ষ অধিনায়ক ময়ঙ্ককে তুলেও নিয়েছিলেন উমেশ। কিন্তু ৩ নম্বরে নেমে ঝড় তোলেন শ্রীলঙ্কার তারকা রাজাপাকসে। মাত্র ৮ বলে ৩ টি চার ৩ টি ছয় সহ ৩১ রান করেন তিনি। নবম বলে বড় শট মারতে গিয়ে আউট হন মাভির বলে। এরপর কোনও ব্যাটারই আর বেশি কিছু করতে পারেনি পাঞ্জাবের।
রাবাদা শেষদিকে কিছুটা চালিয়ে ১৬ বলে ২৫ রান করে পাঞ্জাবকে ১৩৭ অবধি পৌঁছে দেন। ২০ ওভার ব্যাট করতে ব্যর্থ হয় পাঞ্জাব। দুরন্ত বোলিং করে ৪ ওভারে একটি মেডেন সহ ২৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন উমেশ। নিজেকে যেন রোজই নতুন উচ্চতায় তুলে ধরছেন তিনি। ২ উইকেট নেন সাউদিও। কামিন্সের অনুপস্থিতিতে ভালোই ভরসা দিয়েছেন তিনি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্রুতই রাহানে এবং ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে হারিয়েছিল কলকাতা। ভালো খেলেছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। কিন্তু তিনি ১৫ বলে ২৬ রান করে আউট হওয়ায় চাপ বাড়ে। এইসময় খাতা না খুলেই আউট হয়েছিলেন নীতিশ রানাও। কিন্তু স্যাম বিলিংসকে সাথে নিয়ে যাবতীয় উদ্বেগ কে হাওয়ায় উড়িয়ে কলকাতাকে জয় এনে দেন রাসেল।