বাংলাহান্ট ডেস্ক: এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় যাকে নিয়ে সবথেকে বেশি আলোচনা হচ্ছে তিনি নিঃসন্দেহে নেহা ধুপিয়া (neha dhupia)। বলিউডের একজন মোটামুটি পরিচিত অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও নেটজগতে তুমুল ট্রোল হচ্ছেন তিনি। কারন, তাঁর ভন্ড নারীবাদ। এমনটাই মত নেটিজেনদের। পুরুষ ও নারীর মধ্যে তিনি বিভেদ তৈরি করেন। মুখে সাম্যের কথা বললেও আদতে তিনি পুরুষ বিদ্বেষী। সম্প্রতি এমনই মত প্রকাশ করছেন অধিকাংশ নেটজনতা।
এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন নেহার স্বামী অঙ্গদ বেদী। নিজের ইনস্টা হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন তিনি। সেখানে নেহার সঙ্গে নিজের পাঁচটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘Sun MERI baat.. here are my 5 girlfriends!!!! Ukhad lo jo ukhad na hai!!!!’ সেই সঙ্গে নেহা ধুপিয়া ও ইটস মাই চয়েজ হ্যাশট্যাগ দিয়েছেন।
এই পোস্টটি বেশ ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই সমর্থন করেছেন অঙ্গদকে। স্বামী হিসাবে তিনি যে তাঁর কর্তব্যটা পালন করেছেন তার জন্য তাঁকে সমর্থনও করেছেন অনেকেই। আবার একাংশ সামলোচনাও করেছেন অঙ্গদের নেহাকে সমর্থন করার জন্য। অবশ্য এসব সমালোচনায় বিশেষ পাত্তা দেননি অঙ্গদ।
https://www.instagram.com/p/B9yDKVSh3zm/?utm_source=ig_embed
প্রসঙ্গত, অতি সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওটি জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘রোডিস’ এর আগামী সিজনের নির্বাচন পর্বের। সেখানে দেখা গিয়েছে এক ব্যক্তির ওপর চোটপাট করছেন তিনি। ওই ব্যক্তির ‘অপরাধ’ তাঁর গার্লফ্রেন্ড তার সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন অন্য আরও ৫ জনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখায় তাকে চড় মারেন তিনি। এই কথাটা সর্বসমক্ষেই জানায় ওই ব্যক্তি। এরপরেই রণংদেহী মূর্তি ধারন করেন নেহা ধুপিয়া। চিৎকার করে ওই ব্যক্তিকে তিনি জানিয়ে দেন, মেয়েটি পাঁচজনের সঙ্গে সম্পর্কে থাকতেই পারে, সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু ওই ব্যক্তির কোনও অধিকার নেই তার গার্লফ্রেন্ডকে মারার। বিষয়টা প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে নেটদুনিয়ায়। সেই সঙ্গে আরও একটি পুরোনো ভিডিও এই সময় ট্রেন্ডিং হতে শুরু করে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, রোডিসের অডিশনে একটি মেয়ে জানাচ্ছে, তাঁর চার প্রাক্তনকে সে চড় মেরেছিল। সেই সময় হাসিমুখে তাঁকে সমর্থন করেন নেহা। অন্যান্য বিচারকরাও মেয়েটিকে প্রশ্ন করে চড় মেরে কেমন লেগেছিল তার। এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই আরও বেশি আক্রমণের মুখে পড়েছেন অভিনেত্রী। কোনও মেয়ে কোনও ছেলেকে চড় মারলে সেটা ‘নারীবাদ’, কিন্তু এই একই কাজ কোনও ছেলে করলে সেটা অপরাধ। নেহার এই মানসিকতার জন্যই জোরদার সমালোচনা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।