অঙ্গনওয়াড়ি (Anganwadi) কেন্দ্রে কবে পৌঁছবে সিলিন্ডার?
দ্রুত এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে চাইছেন কর্মীরাও। জানা যাচ্ছে, প্রতিটি অঙ্গনওয়াড়ি (Anganwadi) কেন্দ্র পিছু সিলিন্ডার এবং ওভেন সহ অন্যান্য পরিকাঠামোর জন্য মোট ৮ হাজার ৯৫১ টাকা ধার্য করা হয়েছে। অন্যদিকে সিলেন্ডার রিফিল করার জন্য প্রত্যেক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে প্রতিমাসে ১ হাজার ৩০৮ টাকা খরচ করতে পারবে।
সাধারণত অঙ্গনওয়াড়ি (Anganwadi) কেন্দ্রগুলিতে রান্নার জন্য কাঠ-কয়লা অথবা অন্য কোন অস্বাস্থ্যকর জ্বালানি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু তাতে সময় নষ্ট হয় এবং নিয়মিত ধোঁয়ার কারণে দূষণ সৃষ্টি হয়। যা রাঁধুনিদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এই কারণেই এই সমস্ত সমস্যা থেকে রেহাই পেতে এবার গ্যাসে রান্না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তাব দিলে? এবার রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন এই জনপ্রিয় নায়িকা
তবে এক্ষেত্রে রয়েছে শর্ত। শুধুমাত্র ৭৫ জনের বেশি উপভোক্তা এমন রয়েছে এমন আইসিডিএস কেন্দ্রগুলিই গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়া হবে। জানা যাচ্ছে, পরিসংখ্যানের হিসাবে উত্তর ২৪ পরগনা আরসিডিএস কেন্দ্রের সংখ্যা ১০,৩৬৮ টি। এরমধ্যে ২,৭৬১ টি কেন্দ্রে ওভেন এবং লাইটার পৌঁছানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে সিলিন্ডার কেনার টাকাও পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এলপিজি রিফিল করার টাকা এখনও দেওয়া হয়নি। এই দুটি ব্লকের সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় সিলিন্ডার দিতে হবে। যার মধ্যে অন্যতম বাদুড়িয়া (২৯৪) এবং বারাসাত-২ (২৬৫)।
জেলা দপ্তরের এক আধিকারিক এপ্রসঙ্গে জানিয়েছেন প্রত্যেকটি সেন্টার ওভেনের সঙ্গে দুটি করে গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার এবং অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র দেওয়া হবে। অনেকে আবার বলছেন বহু আইসিডিএস কেন্দ্রের নিজস্ব ঘর নেই। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অন্যের বাড়িতে এমনকি গাছ তলায় চলে রান্না। তাই গ্যাসে রান্নার নিয়ম সেক্ষেত্রে কিভাবে কার্যকর করা হবে, এই বিষয়ে এখন থেকেই দপ্তরের কর্তাদের ভেবে দেখতে হবে।