বাংলা হান্ট ডেস্ক : অগ্নিগর্ভ হিমাচলপ্রদেশ! সে রাজ্যের চম্বায় (Chamba Murder Case) এক মুসলিম মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রাখায় প্রাণ দিতে হয় বছর ২১-র হিন্দু যুবক মনোহরকে। এরপরই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এলাকার মানুষ। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতেও শুরু করেন তাঁরা। এদিন অভিযুক্ত শাব্বিরের ঘরবাড়িও জ্বালিয়ে দিলেন এলাকাবাসী।
পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাচ্ছে বুঝতে পেরেই সাবধান গয় প্রশাসন। আগামী ৬০ দিনের হন্য এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। বাইরের এলাকার সঙ্গে যে সমস্ত রাস্তা এই এলাকাকে যুক্ত করে সেই রাস্তায় পুলিস পাহাড়া দিচ্ছে। জানা যাচ্ছে, এলাকাবাসী মনোহরের মৃত্যুতে মিছিল করেও প্রতিবাদ দেখাতে চলেছে।
পুলিস সূত্রে খবর, গত ৬ জুন নিখোঁজ হয়ে যান আঠাশ বছরের মনোহর। ৮ জুন তাঁর নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করা হয়। তারপর তদন্তে নেমে ৯ জুন এই নৃশংস ঘটনার কথা জানতে পারে পুলিস। উদ্ধার করা হয় মনোহরের টুকরো টুকরো দেহ।
गुस्साई भीड़ ने आग के हवाले किया हत्या आरोपियों का घर
• चंबा के किहार में 21 वर्षीय मनोहर की हुई है नृशंस हत्या
• आठ अलग-अलग टुकड़ों में काटा गया था मनोहर का शव#chamba #himachal #chambamurder pic.twitter.com/O3cZ7lO0V4
— Ankush Dobhal🇮🇳 (@DobhalAnkush) June 15, 2023
এরপরই ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ পাঠানো হয়। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর তা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ঘটনায় শাবির, মুসাফির হোসেন এবং তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তরা তরুণীর পরিবারের সদস্য বলেই জানিয়েছে পুলিস।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস আরও জানতে পেরেছে, মনোহর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এক মুসলিম তরুণী। কিন্তু তরুণীর বাড়ি থেকে এই সম্পর্ক নিয়ে প্রবল আপত্তি ছিল। এরপরই মনোহরকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষে তারা। প্রথমে যুবককে খুন করা হয়। তারপর প্রমাণ লোপাট করতে মনোহরের দেহের আটটা টুকরো করে ব্যাগে ভরে ফেলে দেওয়া হয় নর্দমায়।
চাম্পার এসপি অভিষেক যাদব জানান, এক নাবালিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন মনোহর। সেই তরুণীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এদিকে তরতাজা ছেলেকে হারিয়ে শোকাহত মনোহরের পরিবার।