বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার ফের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এলেন অনিল আম্বানি (Anil Ambani)। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এবার EV সেক্টরে অনিল আম্বানি টাটা মোটরস এবং মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন। এজন্য তিনি চিনের সবথেকে বড় EV কোম্পানি বিওয়াইডি-র প্রাক্তন ভারতীয় প্রধানকে উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত করেছেন। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, অনিল আম্বানির (Anil Ambani) কোম্পানি রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং ব্যাটারি তৈরির পরিকল্পনা বিবেচনা করছে। বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করছি।
অনিল আম্বানির (Anil Ambani) বড় পরিকল্পনা:
জানিয়ে রাখি যে, রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রতি বছর প্রায় ২,৫০,০০০ যানবাহণের প্রারম্ভিক ক্ষমতা সহ একটি EV প্ল্যান্ট স্থাপনের পরিকল্পনার “খরচের সম্ভাব্যতা” স্টাডি করার জন্য উপদেষ্টা নিয়োগ করেছে। ইতিমধ্যেই রয়টার্সের রিপোর্ট থেকে এই বিষয়টি সামনে এসেছে। এটাও জানা গিয়েছে যে, পরবর্তীতে এই ২,৫০,০০০ থেকে যানবাহণের সংখ্যা বাড়িয়ে ৭,৫০,০০০ করা হবে। এর পাশাপাশি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, সংস্থাটি ১০ গিগাওয়াট ঘন্টা ব্যাটারি প্ল্যান্টের সম্ভাব্যতাও বিবেচনা করবে। যার ক্ষমতা আগামী বছরগুলিতে বাড়ানো যেতে পারে। তবে, এই বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার এবং প্রাক্তন বিওয়াইডি এক্সিকিউটিভ সঞ্জয় গোপালকৃষ্ণনের কাছ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি সামনে আসেনি।
মুকেশ আম্বানিও ব্যাটারি সেলের বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, অনিল আম্বানি (Anil Ambani) হলেন মুকেশ আম্বানির ভাই। বর্তমানে মুকেশ আম্বানি এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এবং রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের প্রধান। যিনি তেল ও গ্যাস থেকে শুরু করে টেলিকম এবং রিটেল সেক্টরে ক্রমশ ব্যবসায়িক বিস্তার ঘটাচ্ছেন। ২০০৫ সালে দুই ভাইয়ের মধ্যে পারিবারিক ব্যবসা ভাগ হয়ে যায়। মুকেশের কোম্পানি ইতিমধ্যেই স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাটারি তৈরির জন্য কাজ করছে এবং এই সপ্তাহে সেটি ১০ গিগাওয়াট ব্যাটারি সেল উৎপাদনের জন্য সরকারি সুবিধার জন্য বিড জিতেছে। এমতাবস্থায়, যদি অনিল আম্বানির গোষ্ঠী এই পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সেক্ষেত্রে আম্বানিরা এই ক্রমবর্ধমান বাজারে আধিপত্য বিস্তার করতে পারবেন।
সরকারের ৫ বিলিয়ন ডলারের PLI স্কিম: গত বছর, ভারতে বিক্রি হওয়া ৪.২ মিলিয়ন গাড়ির মধ্যে বৈদ্যুতিক মডেলের অংশ ছিল ২ শতাংশের কম। তবে, সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ৩০ শতাংশে বৃদ্ধি করতে চায়। পাশাপাশি ইতিমধ্যেই স্থানীয়ভাবে EV এবং তাদের উপাদান ও ব্যাটারি উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির সাহায্যের জন্য ৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বাজেট স্থির করা হয়েছে। ভারতে ব্যাটারি উৎপাদন এখনও শুরু হয়নি। তবে এক্সাইড এবং অমরা রাজার মতো কিছু স্থানীয় প্রস্তুতকারী সংস্থা দেশে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি সেল তৈরির প্রযুক্তি অর্জনের জন্য চিনা কোম্পানির সাথে চুক্তি করেছে।
আরও পড়ুন: বয়স মাত্র ১৯! দলীপ ট্রফিতে ১৮১ রানের ইনিংস খেললেন ভারতের এই নবীন খেলোয়াড়, গড়লেন রেকর্ড
এদিকে, রয়টার্স সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে যে, রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার চিনা কোম্পানিগুলি সহ অন্যান্য অংশীদারদেরও খুঁজছে এবং কয়েক মাসের মধ্যে তার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। জানিয়ে রাখি যে, ভারতের টাটা মোটরস প্রায় ৭০ শতাংশ মার্কেট শেয়ার সহ দেশের বৃহত্তম EV কোম্পানি হিসেবে বিবেচিত হয়। এর পাশাপাশি, SAIC-এর MG মোটর এবং BYD-র মতো প্রতিযোগীরাও ক্রমাগত উন্নতি করছে। অন্যদিকে, মারুতি সুজুকি এবং হুন্ডাই মোটর ২০২৫ সালে EV লঞ্চ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: এই একটি সিদ্ধান্তেই বন্ধ হবে চিনের “দাদাগিরি”! এবার ভারতের মধ্যবিত্তরাও হবেন কোটিপতি, এল বড় আপডেট
দু’টি কোম্পানি গঠন করা হয়েছে: রয়টার্সের রিপোর্টে বলা হয়েছে গত জুন মাসে রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার অটো সম্পর্কিত দু’টি নতুন সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করেছে। যার একটির নাম রিলায়েন্স ইভি প্রাইভেট লিমিটেড। এই কোম্পানির “প্রধান উদ্দেশ্য” হল যেকোনও ধরণের জ্বালানি ব্যবহার করে পরিবহণ এবং ট্রান্সপোর্টের জন্য সমস্ত ধরণের যানবাহণ ও উপাদান তৈরি করা ও ডিল সম্পন্ন করা।