বাংলা হান্ট ডেস্ক : আরজিকরের তরুণীর নৃশংস হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় আছড়ে পড়েছে গোটা দেশে। এসবের মধ্যেই বাংলা বিনোদন জগত থেকে এল, আরো এক ভাঙনের খবর। এমনিতেই বিগত কয়েক দিন ধরে টলিউড (Tollywood) অভিনেতা যিশু সেনগুপ্ত এবং তার স্ত্রী নীলাঞ্জনা সেনগুপ্তের& (Jishu Sengupta & Nilanjana Sengupta) মধ্যে ডিভোর্সের (Divorce) খবর শোনা যাচ্ছে।
ডিভোর্স (Divorce) হচ্ছে অনিন্দ্য-মধুজার
এরই মধ্যে সামনে এলো চন্দ্রবিন্দু ব্যান্ডের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের (Anindya Chatterjee) আইনি বিচ্ছেদের খবর। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনিন্দ্যর স্ত্রী মধুজা (Madhuja) খোলা চিঠিতে জানিয়েছেন অনিন্দ্যর সাথে তাঁর বিচ্ছেদের কথা। প্রসঙ্গত মধুজা নিজেও একজন শিল্পী। লেখালেখির পাশাপাশি ছবি আঁকতেও দারুণ পছন্দ করেন তিনি।
অনিন্দ্যর সাথে দীর্ঘ ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক খোলা চিঠি লিখেছেন মধুজা। তাঁদের দুজনের এক সন্তান রয়েছে। যার নাম জুজু। তাঁকে নিয়ে মধুজা একাই থাকেন মুম্বাইতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই একমাত্র ছেলের কথা প্রসঙ্গে মধুজা লিখেছেন, ‘অনিন্দ্যর খুব ইচ্ছা ছিল ওর লেখা আর আমার ছবি দিয়ে জুজুর জন্য একটা ছোটদের বই বের করবে। বিয়ের আগে থেকেই অনিন্দ্য আমার ছবি আঁকা পছন্দ করত। আমি লিখতেও খুব ভালবাসতাম। চেয়েছিলাম লেখক বা শিল্পী হতে। কিন্তু ঘরে বাইরে সমান তালে ১৪ বছর ধরে লড়ে দেখলাম ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি। একা হয়ে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন : সত্যিই ছিল ডাইনোসর? ২০ কোটি বছরের পুরনো বিশালাকার পায়ের ছাপ, আবিষ্কার করল ১০ বছরের বালিকা
সেইসাথে মধুজার আরও সংযোজন, ‘ তাই নিজেকে নিজের মতো গুছিয়ে নিতে ২০১৯ এ জুজুকে নিয়ে মুম্বই এলাম। আমার সঙ্গে কোভিডও এল। কোভিড ভয় দিল, দুঃখ দিল, হতাশা, অপমান দিল কিন্তু ফিরিয়ে দিল ছবি আঁকা। লেখালেখি ফিরিয়ে দিল, ফিরিয়ে দিল নিজের কথা বলার সাহস। এক সময় বুঝতে পারলাম— বিয়ে মানে ফুল, আলো, যদিদং হৃদয়ং- কিন্তু সর্বোপরি এক আইনি বন্ধন।’
এরপরেই এদিন আইনি বিচ্ছেদের কথা জানিয়ে মধুজার দাবি, ‘জুজুর বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়নি। তাঁর কথায় ‘আইনি পথেই বিচ্ছেদ কাম্য। জানি, অনিন্দ্য খুব কষ্ট পেয়েছে। পেয়েছি আমিও। আবার সত্যটা মেনে নিয়ে কোথাও একটা নির্ভারও হয়েছি। অনিন্দ্য আর আমি তাই আইনি পথে বিচ্ছেদে পা বাড়িয়েছি। বিচ্ছেদ বিয়ের হয়েছে! জুজুর বাবা মায়ের হয়নি। দাম্পত্যের হয়েছে— বন্ধুত্বের হয়তো না। আজ সত্যিই তাই খেলা ভাঙার খেলা!’