বাংলাহান্ট ডেস্ক: নির্বাচনী আবহে যখন রাজনৈতিক উত্তাপ চরমে তখনি অনির্বাণ ভট্টাচার্য (anirban bhattacharya), ঋদ্ধি সেন, অনুপম রয়দের মতো একঝাঁক তারকা একটি নতুন গান নিয়ে এলেন। ‘আমি অন্য কোথাও যাব না, আমি এই দেশেতেই থাকব’, গানের মধ্যে দিয়ে এমনি বার্তা দিয়েছিলেন অনির্বাণরা।
এই গানের প্রসঙ্গে আবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh) এক বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন। তিনি বলেন, ‘শিল্পীদের বলছি আপনারা নাচুন, গান। ওটা আপনাদের শোভা পায়। রাজনীতি করতে আসবেন না। ওটা আমাদের ছেড়ে দিন। না হলে রগড়ে দেব।’
দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য নিয়ে তুমুল শোরগোল হয় রাজ্য রাজনীতিতে। কৌশিক সেন, ঋদ্ধি সেন, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, শ্রীলেখা মিত্রদের পাশাপাশি বিজেপির রূপাঞ্জনা মিত্র, বনি সেনগুপ্তদেরও দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের সমালোচনা করতে দেখা যায়।
এবার এই মন্তব্যের উত্তর দিতে শোনা গেল গানের লেখক অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে। সংবাদ প্রতিদিনের ফেসবুক লাইভে তাঁকে প্রশ্ন করা হয় দিলীপ ঘোষের তিনি ভয় পেয়েছেন কিনা। উত্তরে অভিনেতা জানান, ভয় তিনি পাননি। অনির্বাণের কথায়, “রগড়ে যদি দেন, রগড়ে দেবেন, কি আর করা যাবে। অভিনেতাদের সত্যিই রগড়ে দেওয়া যায়। কারণ অভিনেতাদের তো সেই অর্থে কোনো রেজিমেন্টেশন নেই, এই নেই, সেই নেই। আমরা এভাবেই ঘুরে বেড়াই। এখন আমরা একটা কথা বলি। তার জন্য যদি আমাদের পরিণতিতে থাকে রগড়ে যাওয়া তাহলে রগড়ে যেতে হবে আর কি করা যাবে।”
তবে অনির্বাণ কিন্তু কোনো রাজনৈতিক রঙ বেছে নেননি বলেই জানান। এমনকি নিজেকে বামপন্থী বলতেও রাজি নন তিনি। তিনি মনে করেন, সমাজ থেকেই একজন শিল্পী নিজের সৃষ্টির রসদ খুঁজে নেন। তাই তাঁর কাজে সমাজ প্রতিফলিত হয়। ঠিক সেই কারণেই একজন শিল্পীরও সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে বলার অধিকার রয়েছে বলে মন্তব্য করেন অনির্বাণ।
অনির্বাণদের ভিডিওর পালটা মিউজিক ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে গেরুয়া শিবিরের তরফে। বাবুল সুপ্রিয়, রুদ্রনীল ঘোষের গলায় শোনা গিয়েছে ‘তুমি অন্য কোথাও যেও না, তুমি এই দেশেতেই থাকো’। মিউজিক ভিডিওতে রয়েছেন বিজেপি নেত্রী তথা অভিনেত্রী রূপা ভট্টাচার্যও।
রাজ্য বিজেপির ফেসবুক পেজে ভিডিওটি শেয়ার করে লেখা হয়েছে, ‘বড় যত্ন করে মিথ্যে বলে বিকৃত করে ইতিহাস, বৃথা স্বপ্ন দেখো বাঙালি আবার পড়বে তোমার সিলেবাস। তা হচ্ছে না হবে না….. সৌজন্যে : বাবুল সুপ্রিয়’। তবে এই মিউজিক ভিডিওটি খুব একটা পছন্দ হয়নি অনির্বাণ। তাঁর মতে আরো একটু সৃজনশীল হতে পারত গানটি।