বাংলাহান্ট ডেস্ক: মধ্যরাতে উত্তপ্ত করুণাময়ী চত্বর। গত মঙ্গলবার থেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সামনে যে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা অনশনে বসেছিলেন, বৃহস্পতিবার মাঝরাতের পর তাদের একরকম ‘বলপ্রয়োগ’ করে তুলে দেয় পুলিস। ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকেই। মধ্যরাতের এই পুলিসি বর্বরতার বিরুদ্ধে সরব শিল্পী মহল। বুদ্ধিজীবীদের প্রসঙ্গ তুলে কটাক্ষ ছুঁড়েছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্যও (Anirban Bhattacharya)।
অতীতে রাজ্যে একাধিক ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটে থাকতে দেখা গিয়েছিল তথাকথিত ‘বুদ্ধিজীবী’দের একাংশকে। তা নিয়ে বিদ্রুপ করেছিলেন শিল্পী মহলেরই অপর অংশ এবং নেটনাগরিকরা। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনায় রাজ্য সরকার এবং পুলিসকে তীব্র ভর্ৎসনা করে সুর চড়িয়েছেন বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই।
এ প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খোলেন অনির্বাণ। কটাক্ষের সুরে বলেন, যে শিল্পীদের ‘বুদ্ধিজীবী’ বলে গালি দেওয়া হয় তাঁরাও তো এবার ধিক্কার জানাচ্ছেন। কোনো যোগ্য লোক কি নিজের প্রাপ্যটা পাচ্ছেন এ রাজ্য, এ দেশে যে আজ হঠাৎ পাবেন? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
অনির্বাণ বলেন, যাদের প্রতিবাদ করার তারা করছেন। যারা দেশের সংবিধানের উপরে বিশ্বাস রাখেন তারা একরকম ভাবে প্রতিবাদ করছেন আর যাদের আস্থা নেই তারা অন্য রকম ভাবে। অসাংবিধানিক ঘটনা এই প্রথম নয়। এই ঘটনাকে ধিক্কার জানিয়ে লেখা চিঠিতেও সই করেছেন বলে জানান অনির্বাণ।
অনির্বাণ আরো বলেন, একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে তিনি চান, যেন যোগ্যরা নিজেদের প্রাপ্যটা পায়। সব জায়গাতেই যেন এমন সরকার থাকে যারা পিছিয়ে পড়া মানুষদের পথ দেখাবে।
বৃহস্পতিবারের ঘটনায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অপর্ণা সেন। টুইটে লিখেছেন, ‘অনশণকারীদের গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে তৃণমূল সরকার! অহিংস আন্দোলনের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা জারি করা হল কেন? সরকারের অনৈতিক আচরণের তীব্র প্রতিবাদ করছি!’
অভিনেতা ঋদ্ধি সেন লিখেছেন, ‘ধিক্কার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পুলিশকে এক শান্তিপূর্ণ, যোগ্য আন্দোলনের গায়ে এমন বীভৎস আঘাত করার জন্য l এই জঘন্য কাজের মাশুল গুনতে হবে রাষ্ট্রকেl’ অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রর বিদ্রুপ, ‘পড়াশোনা করে যে এ রাজ্যে চাকরি পায় না সে। বরং পুলিসের গাড়ি চড়ে সে।’