বাংলাহান্ট ডেস্ক : আনিস হত্যাকাণ্ডে উত্তেজনা তুঙ্গে। এবার অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে মাঠে নামলেন গ্রামবাসীরাও। আমতা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় তাঁরা। পুলিশের সঙ্গে খন্ডযুদ্ধে চলে থানা এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁটবৃষ্টিও। ঘটনার জেরে তীব্রতর হয়েছে উত্তেজনা। আনিসের বাবার দাবি, পরিকল্পিত ভাবে তৃণমূলই এই ঝামেলা বাঁধিয়েছে।
গতকাল আনিস হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন দুই পুলিশকর্মী। এদিন উলুবেড়িয়া আদালতে তাঁদের পেশ করার সময় পুলিশের গাড়ি থেকেই তাঁদের বলতে শোনা যায় ‘ওসি সব জানেন। আমাদের বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে।’ এরপরই আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন মৃতের পরিবার এবং গ্রামবাসীরা। এদিন দুপুরেই আনিসের বাড়ি থেকে দীর্ঘ সাড়ে ছয় কিলোমিটার রাস্তা মিছিল করে এসে আমতা থানা ঘেরাও করেন তাঁরা।
এই বিক্ষোভে সামিল হন আনিসের বাবা সালাম খানও। অসুস্থতা সত্ত্বেও ওই দীর্ঘ পথ হেঁটেই আসেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন আমতার ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস নেতা অসিত মিত্র, ফুরফুরা শরিফের প্রতিনিধি কাশেম সিদ্দিকিও। জানা যাচ্ছে থানা ঘেরাও করে ভিতরে ঢুকতে চেষ্টা করে বিক্ষুদ্ধ জনতা। এই সময় বাধা দেয় পুলিশ। ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেরা হয় চত্ত্বর। এরপরই মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁট ছোঁড়া হয়। ভাঙা হয় ব্যারিকেড। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা।
হামলাকারীরা তাঁদের লোক নয়, স্পষ্টতই এই দাবি করেছেন সালাম খান। তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ তৃণমূলের লোকই মিছিলে ঢুকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁট ছুঁড়েছে তাঁদের বদনাম করার জন্য এবং আন্দোলনকে বন্ধ করার জন্য। অবশেষে আনিসের বাড়ির ৬ জনকে থানায় ঢোকার অনুমতি দেয় পুলিশ। সেখানেই কথা বলা হয় তাঁদের সঙ্গে। জানা যাচ্ছে প্রাথমিকভাবে পুলিশের দাবি, বাড়ির পাইপ বেয়ে নামতে গিয়েই পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ছাত্রনেতার। কিন্তু এই দাবিকে সম্পুর্ন অস্বীকার করেছেন আনিসের বাবা। তিনি জানান কোনও পাইপই নেই তাঁদের বাড়িতে। একই সঙ্গে এখনও সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিন হাইকোর্টে ছিল আনিস মামলার শুনানি। সেখানে মৃতদেহ কবর থেকে তুলে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। আজ শুনানিতে আনিসের হয়ে সওয়াল করেন বাম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।