বাংলাহান্ট ডেস্ক : সময় পাল্টাচ্ছে, যুগ বদলাচ্ছে। আর সেই সঙ্গেই প্রত্যেকদিন উন্নত হচ্ছে প্রযুক্তি। ল্যান্ডফোন থেকে শুরু করে আজকের স্মার্টফোন, সময়ের সাথে সাথেই পরিবর্তন এসেছে যোগাযোগের মাধ্যমে। আর এই কথা বলার মাধ্যমেও যখন বদল এসেছে, তখন কী আর গানের কথায় পরিবর্তন না এসে থাকতে পারে?
আসলে মজার কথা হল, দিন কয়েক আগেই এক অদ্ভুত প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন বহুমুখী প্রতিভা অঞ্জন দত্ত (Anjan Dutta)। তার অত্যন্ত জনপ্রিয় গান ‘বেলা বোস’কে নিয়েই প্রশ্ন উঠেছিল। ১৯৯৫ সালের সৃষ্টি ‘এটা ২৪৪১১৩৯, বেলা বোস তুমি পারছো কি শুনতে?’, আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে কেমন হয় সেই নিয়েই নেটপাড়ায় চলছে চর্চা।
আরোও পড়ুন : ফ্লেভারড কন্ডোমে হচ্ছে ভয়ঙ্কর নেশা! গ্রাস করছে দুর্গাপুরের যুবকদের, চিন্তান্বিত প্রশাসনিক কর্মকর্তারা
বলা বাহুল্য, যে সময়ে গানটি তৈরি করা হয়, সে সময় ছিল না কোন স্মার্টফোন। শুধুমাত্র গুটিকয় মানুষের বাড়িতে ল্যান্ডফোনই ছিল একমাত্র ভরসা। যাঁদের প্রচুর টাকা, তাঁদের হাতেই একমাত্র ছিল কালো রঙের বিরাট বড় একটি অ্যান্টেনা-যুক্ত মোবাইল ফোন। কল মিনিট পিছু মোটা টাকা খরচা হত। তাই, ইচ্ছে থাকলেও মোবাইল নিয়ে ঘোরার সামর্থ্য মধ্যবিত্তের ছিল না।
আরোও পড়ুন : ৮০০ কেজি সোনা নিয়ে যাচ্ছিল ট্রাক, রাস্তায় গেল উল্টে! তারপর যা হল …
তবে, আজকের দিনে মোবাইল নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। facebook, whatsapp, instagram-এ প্রায় কমবেশি সবাই অ্যাকটিভ। তাই, স্বাভাবিকভাবেই অঞ্জন দত্তের কাছে প্রশ্ন যায় যদি এই যুগে দাঁড়িয়ে ‘বেলা বোস’ লিখতেন, তা হলে কী হত সেই ফোন নম্বরটি। নিশ্চয়ই কোনও ল্যান্ডলাইন নম্বর তিনি লিখতেন না। এর উত্তর দিয়েছিলেন অঞ্জন নিজেই।
স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে অবশ্য অঞ্জন বলেছেন, “আমি হয়তো কোনও ল্যান্ডলাইনের নম্বরই দিতাম না। কোন একটা মোবাইল নম্বরে গানের লাইন হত। হয়তো ফোন কল করতামই না। স্রেফ একটা হোয়াটসঅ্যাপ কল করতাম। কিংবা হোয়াটসঅ্যাপের কথা বলতাম। এখন তো প্রযুক্তি অনেক এগিয়ে গিয়েছে। আমার গানটাও অন্যরকম হত।”