বাংলাহান্ট ডেস্ক: টলিউডের (tollywood) প্রায় সকলেই একে একে পা বাড়িয়েছেন রাজনীতির (politics) দিকে। নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক রঙ গায়ে লাগানোর হিড়িক নিয়ে আগেও মুখ খুলেছিলেন অঙ্কুশ হাজরা (ankush hazra)। একে একে সব বন্ধুরা রাজনীতিতে চলে যাওয়ায় একা হয়ে গিয়েছেন তিনি, এমনি আক্ষেপ করেছিলেন অঙ্কুশ। এবার ফের তিনি সরব হলেন এই বিষয়ে।
জি ২৪ ঘন্টার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে অঙ্কুশ জানান, তাঁর কাছেও রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু তিনি মানসিকভাবে প্রস্তুত নন। উপরন্তু কাদা ছোঁড়াছোঁড়িতে তিনি যেতে চান না। মানুষকে সাহায্য করতে হলে রাজনীতিতে আসার দরকার নেই। তা চাইলে নিজে থেকেই করা যায় বলে মন্তব্য করেন অঙ্কুশ।
আরো বিষ্ফোরক মন্তব্য করেন অভিনেতা। তাঁর কথায়, রাজনীতিতে যোগ দিলে বাক স্বাধীনতা হারিয়ে যায়। বন্ধু বান্ধবরা সোশ্যাল মিডিয়ায় যা পোস্ট করেন তা দেখে তাদের চেনা যায় না বলে মন্তব্য করেন অঙ্কুশ। রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বলেই তেমন কথা তারা লিখতে বাধ্য হন আর তেমনটা অঙ্কুশ করতে চাননি বলে জানান। তবে তিনি চান যারা রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছেন তারা যেন তাদের কাজের প্রতি সৎ থাকেন।
সম্প্রতি তৃণমূল বিধায়ক তথা অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী মন্তব্য করেন, যারা কাজ পাচ্ছেন না তারাই রাজনীতিতে আসছেন। এই প্রসঙ্গে অঙ্কুশের বক্তব্য, চিরঞ্জিৎ নিজেই সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে রাজনীতিতে এসেছেন। তাই তাঁর জুনিয়ররা তো তাঁকেই অনুসরণ করবে।
সম্প্রতি বনি সেনগুপ্তও বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় হতভম্ব হয়ে যান সকলে। বনির প্রেমিকা কৌশানি তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন, বনির মা পিয়া সেনগুপ্তও তৃণমূল। সেখানে বনি নিজে গেরুয়া শিবির বেছে নেওয়ায় অবাক সকলেই। অঙ্কুশও সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘এত লেফট আউট কোনোদিন ফিল করিনি। হোলি আসছে তখনি না হয় গায়ে রঙ লাগাবো।’ সঙ্গে মুখ ব্যাজার করা একটি মজার ছবিও শেয়ার করেন তিনি।
কার্যতই দারুন অভিমান হয়েছে অঙ্কুশের। আনন্দবাজার ডিজিটালকে তিনি জানান, এখন কোনো বন্ধুই আড্ডা, পার্টি করতে চান না। সবাই ব্যস্ত। তিনি এও জানান, টলিউড তো এখন ফাঁকা। তাই কেউ আসতে চাইলে তিনি, বুম্বা দা ও জিৎ দা মিলে প্রশিক্ষণ দিয়ে দেবেন।