বাংলাহান্ট ডেস্ক: মাদক (drugs) চক্রে জড়িত থাকায় এবার আরও এক অভিনেত্রীকে গ্রেফতার করল পুলিস। রিয়া চক্রবর্তীকে (rhea chakraborty) গ্রেফতার করার দিন অর্থাৎ মঙ্গলবারই বেঙ্গালুরু পুলিস (bangalore) গ্রেফতার করে কন্নড় (kannada) অভিনেত্রী সঞ্জনা গলরানিকে (sanjana galrani)।
কিছুদিন আগেই মাদক যোগে গ্রেফতার হয়েছেন কন্নড় অভিনেত্রী রাগিনি দ্বিবেদী। এবার গ্রেফতার হলেন সঞ্জনা। মঙ্গলবার সকালে বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। জানা গিয়েছে, তার আগে বেশ কিছুক্ষণ সঞ্জনাকে জেরা করে বেঙ্গালুরু পুলিস।
এই প্রসঙ্গে বেঙ্গালুরুর উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, সমাজের সব স্তরেই মাদক চক্র তার জাল বিস্তার করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে তাদেরই খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। এর আগে রাগিনি দ্বিবেদী সহ রাহুল ও বীরেন খান্না নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে মাদক যোগে। এর মধ্যে রাহুল সঞ্জনার বন্ধু।
তারপর থেকেই সঞ্জনার উপর নজর রাখতে শুরু করে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। মঙ্গলবার সকালে অভিনেত্রীর ইন্দিরা নগরের বাড়িতে হাজির হয় বেঙ্গালুরু পুলিসের ক্রাইম ব্রাঞ্চের টিম। বাড়িতে তল্লাশির পর সঞ্জনাকে নিয়ে যাওয়া হয় ব্রাঞ্চের মূল দফতরে। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের পর আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানার নিয়ম অনুযায়ী গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এই নিয়ে ৬ জনকে মাদক যোগে গ্রেফতার করল বেঙ্গালুরু পুলিস।
বলিউডের মতো কন্নড় ইন্ডাস্ট্রিতেও রয়েছে মাদকের রমরমা। বেঙ্গালুরু পুলিস সূত্রে খবর, ধৃত বীরেন খান্না ইন্ডাস্ট্রির হেভিওয়েট পার্টিতে মাদকের যোগান দিত। দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
অন্যদিকে মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেফতার করা হয় রিয়া চক্রবর্তীকে। মাদক চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে NCB। বিকেল ৪টে নাগাদ মেডিক্যাল টেস্ট করাতে নিয়ে যাওয়া হয় রিয়াকে। জানা গিয়েছে, তাঁর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
প্রথমে শোনা গিয়েছিল চার অভিযুক্তকে তাদের কাস্টডিতে রাখার জন্য আদালতে আপিল করবে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো। তাদের আরও জেরা করা হবে বলে খবর। কিন্তু পরে NCB আধিকারিক জানান, রিয়াকে তাদের হেফাজতে রাখার প্রয়োজন নেই। ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিয়াকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এখনও পর্যন্ত ৯ জনকে মাদক মামলায় গ্রেফতার করেছে NCB। তাদের মধ্যে রয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী, শৌভিক চক্রবর্তী, স্যামুয়েল মিরান্ডা, দীপেশ সাওয়ান্ত, কাইজান ইব্রাহিম, জায়েদ ভিলতারা, আব্বাস লাখানি, করন অরোরা, আব্দুল বসিত পরিহার। নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস অ্যাক্ট এর আওতায় ২০, ২৭ ও ২৯ সেকশনে মামলা দায়ের হয়েছে এই ৯ জনের বিরুদ্ধে।