বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিনোদন জগতে যেন শনির দৃষ্টি পড়েছে। গত প্রায় মাস খানেক ধরে একের পর এক খারাপ খবর এসেই চলেছে বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি থেকে। বলিউড থেকে টলিউড বাদ পড়েনি কোনো ইন্ডাস্ট্রিই। কিছুদিন আগে পর্যন্তও চার চারজন তরুণী মডেল অভিনেত্রীর (Actress) মৃত্যুতে শোরগোল পড়েছিল বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে। এবার ফের এক আত্মহত্যার খবর চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
খবর এসেছে ওড়িয়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি (Odishi Industry) থেকে। রশ্মিরেখা ওঝা (Rashmirekha Ojha) নামে এক জনপ্রিয় অভিনেত্রীর গলায় ফাঁস দেওয়া দেহ উদ্ধার হয়েছে। ভুবনেশ্বরে নিজের বাড়ি থেকেই ওই অভিনেত্রীর দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছিল তাঁর দেহ। প্রাথমিক ভাবে পুলিসের অনুমান, আত্মহত্যাই করেছেন অভিনেত্রী।
ওড়িয়া টেলিভিশন জগতে বেশ নাম রয়েছে রশ্মিরেখার। বেশ কিছু সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন তিনি। ভুবনেশ্বরের নায়াপল্লী এলাকাতে ভাড়া হিসাবে থাকতেন অভিনেত্রী। জানা যাচ্ছে, সন্তোষ পাত্র নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন রশ্মিরেখা। বাড়ির মালিক দাবি করেছেন, সন্তোষকে নিজের স্বামীর পরিচয় দিয়ে বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
ওই বাড়িরই একটি ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে গলাম ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার হয় রশ্মিরেখার দেহ। পাশে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে। নিজের মৃত্যুর জন্য কাউকেই দায়ী করেননি অভিনেত্রী। যদিও তাঁর বিধ্বস্ত বাবার অভিযোগ, মেয়ের এই পরিণতির জন্য তাঁর লিভ ইন পার্টনার সন্তোষই দায়ী।
অভিনেত্রীর বাবা জানান, গত শনিবার মেয়েকে ফোন করেছিলেন তিনি। কিন্তু ফোন ধরেননি রশ্মিরেখা। সন্তোষই অভিনেত্রীর পরিবারের লোকদের প্রথম তাঁর আত্মহত্যার খবর জানান। মেয়ের আচমকা মৃত্যুতে স্বাভাবিক ভাবেই ভেঙে পড়েছেন তাঁর বাবা।
রশ্মিরেখার বয়স হয়েছিল মাত্র ২৩। এই বয়সেই এমন চরম পদক্ষেপ কেন নিতে হল তাঁকে তার উত্তর খুঁজছে পুলিস। অভিনেত্রীর লিভ ইন পার্টনারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে খবর। রশ্মিরেখার মৃতদেহও ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।