বাংলাহান্ট ডেস্ক : আমাদের এই বিশালাকার পৃথিবীর মধ্যের কতটুকুই বা আমরা জানতে পেরেছি!আমরা অনেকেই ভাবি মানুষ হলো “সবজান্তা”। কিন্তু আসলেই কি তাই? আমরা কি আদৌ এই এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের বিপুল রহস্যের সিকিভাগও জানতে পেরেছি! হিসেব মতো পৃথিবীতে তিন ভাগ জল এক ভাগ স্থল। যার মধ্যে বেশিরভাগটাই মানুষের আবিষ্কার করা হয়ে গেছে। অনেক দুর্ভেদ্য জঙ্গলের ভেতরেও পা রেখেছে মানুষ। কিন্তু যদি হঠাৎই এমন কোন কিছুর হদিস পাওয়া যায় যা জানতে পারলে চোখ কপালে উঠবে বিজ্ঞানীদেরও তাহলে কেমন হয়? এমনই এক বিস্ময়কর ঘটনা ঘটেছে ভারতের প্রতিবেশী দেশ চিনে।
চিনে এক বিশালাকার জঙ্গলের মধ্যে আবিষ্কার হয়েছে এক বিশাল আকার গর্ত যার মধ্যে ঢোকে না সূর্যের আলোও। সেখানে এক বিজ্ঞানীর দল অভিযান চালিয়ে হদিস পান এক অন্য জগতে যাওয়ার রাস্তার। চিনা এক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গেছে, চীনের লেক কাউন্টিং নামক এক জঙ্গলে দেখা মিলেছে বহু বিশালাকার গর্তের যার মধ্যে সবচেয়ে গভীর গর্তটির গভীরতা প্রায় 630 ফুট। সেই অঞ্চলের স্থানীয় অধিবাসীরা এই গর্তের নামকরণ করেছেন ” সেনোইং তীয়ানচেং”। স্থানীয় সেই অধিবাসীদের বিশ্বাস এই গর্ত আসলে অনন্ত যার গভীরতা খুঁজে পাওয়া খুব মুশকিল। এবং এই গর্তই পৃথিবীর সাথে অন্য এক রহস্যময় জগতের সংযোগ ঘটিয়েছে।
তবে বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণা চালাতে অভিযান চালিয়েছেন গর্তের ভেতর। অভিযান শুরু হয়েছে চলতি বছরের মে মাস থেকে। তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গর্ত গুলির মুখ বিশালাকৃতি বৃক্ষের দ্বারা এমনভাবেই আড়াল করা রয়েছে যে সেই গর্তের ভেতর সূর্যের আলো কোনমতে ছিটেফোঁটাও প্রবেশ করতে পারে না। সে গর্তের ভেতর দেখা মিলেছে বহু চেনা-অচেনা প্রজাতির ছোট বড় উদ্ভিদের। বিজ্ঞানীদের ধারণা সেই গর্তগুলিতে আগে ছিল জলস্রোত কিন্তু বর্তমানে যে কোন কারনেই হোক সেই জলস্রোতের খোঁজ মেলেনি।বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গবেষণা চলছে এবং আশা করা যায় খুব তাড়াতাড়ি গর্তগুলি সম্পর্কে অজানা সমস্ত রহস্য উদঘাটিত হবে।
গবেষণার কাজের জন্যই এই গর্ত গুলির বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও করা হয়েছিল সেই গবেষক দলের তরফ থেকে। তবে সেই ভিডিওগুলিতে বা ছবিগুলিতে সন্দেহজনক কোন কিছুই চোখে পড়েনি তাদের।এখনো পর্যন্ত সেই দুর্ভেদ্য জঙ্গলে মোট ৩০ টি গর্তের সন্ধান মিলেছে।