বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দেশে ধর্ষণের (Rape) মামলায় দোষীদের সাজা দিতে কতটা দেরি হয়, সেটা নিয়ে আমরা সবাই অবগত। দিল্লী নির্ভয়া কাণ্ডের সাত বছর হয়ে গেছে, কিন্তু এখনো দোষীদের ফাঁসি হয়নি। আর এই কারণে হায়দ্রাবাদের (Hyderabad) মহিলা পশু চিকিৎসকের (Veterinary Doctor) ধর্ষণ আর হত্যার পর মানুষের মধ্যে আরও ক্ষোভ জেগে ওঠে। সবার মনে একটাই কথা ঘুরছিল যে, এবারও হয়ত নির্ভয়া কাণ্ডের মতো দোষীদের বসিয়ে বসিয়ে জেলের ভাত খাওয়ানো হবে। কিন্তু হায়দ্রাবাদ পুলিশ আজ সকালে এনকাউন্টার করে চার দোষীকে খতম করে, আর এরপর গোটা দেশেই হায়দ্রাবাদ পুলিশের ভূয়সী প্রশংসা হচ্ছে। কিন্তু আপনি কি জানেন? ঠিক একই রকম ঘটনা ১১ বছর আগে হায়দ্রাবাদে ঘটে গেছিল, আর তখন আজকের পুলিশ কমিশনার সজ্জনার (Cp sajjanar) তখন পুলিশের সুপারিটেন্ডেন্ট ছিলেন।
এই ঘটনা ২০০৮ সালে। অন্ধ্র প্রদেশে বারঙ্গলে তিন অভিযুক্ত পুলিশের হেফাজতে ছিল। ওই তিনজনের বিরুদ্ধে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ২ ছাত্রীর উপর অ্যাসিড আক্রমণের অভিযোগ ছিল। পুলিশ সেখানকার ক্রাইম সিনকে রিক্রিয়েট করতে চাইছিল। আর সেই কারণে অভিযুক্তদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে তিন অভিযুক্ত পুলিশের উপর অ্যাসিড ছুঁড়ে পালানোর প্ল্যান করছিল। তখন পুলিশ তাঁদের উপর গুলি চালিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলেই তিন অভিযুক্তের মৃত্যু হয়।
তখন সেখানকার এসপি সিপি সজ্জনার ছিলেন। উনি গোটা ঘটনা মিডিয়ার সামনে তুলে ধরে বলেন, তিন অভিযুক্ত নিজেদের দোষ স্বীকার করেছিল। আর পুলিশ ঘটনা বিস্তারিত ভাবে জানতে ঘটনাস্থলে যায় আর সেখানে ঘটনাস্থলে এনকাউন্টার করা হয়। শোনা যাচ্ছে যে, এই ঘটনার পর হায়দ্রাবাদে মহিলাদের উপর অ্যাসিড ছোঁড়ার ঘটনা অনেক কমে গেছে।
আজ আরও একবার ১১ বছর পর হায়দ্রাবাদের এই এনকাউন্টার ১১ বছরের পুরনো ঘটনাকে মনে করিয়ে দেয়। শুক্রবার সকালে এরকমই কিছু ঘটল। তেলেঙ্গানা পুলিশ অনুযায়ী, সমস্ত অভিযুক্তকে সকালে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেখানে গোটা ঘটনার রিক্রিয়েট করা হত। আর সেই সময় দোষীরা পুলিশের হাতিয়ার কেড়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ দোষীদের প্রথমে ওয়ার্নিং দেয়, কিন্তু পুলিশের কথা না শুনে তাঁরা পালাতে থাকে। এরপর পুলিশ বাধ্য হয়ে গুলি চালায়, আর দোষীদের মৃত্যু হয়।