ভয়াবহ দুর্ঘটনা! ফের অগ্নিকান্ড এক্সপ্রেস ট্রেনে, চরম আতঙ্কে যাত্রীরা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিগত কয়েক মাসে একাধিক রেল (Indian Railways) দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে দেশজুড়ে (India)। ঠিক সেইরকমই এক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল শুক্রবার। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, মুম্বই থেকে গোরক্ষপুরগামী গোদান এক্সপ্রেসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মূলত, ওই ট্রেনটি মুম্বাই থেকে তার সফর শুরু করে মহারাষ্ট্রের নাসিক রোড স্টেশনের কাছে পৌঁছেছিল।

সেই সময়ে গোদান এক্সপ্রেসের একদম শেষে লাগেজ বগিতে আচমকাই আগুন লেগে যায়। এদিকে, এই অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া মাত্রই সতর্কতা হিসেবে ট্রেনের বাকি অংশটিকে ওই লাগেজের বগি থেকে আলাদা করা হয়। বিকাল ৩ টের দিকে পুরো ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গেছে। তবে, এই দুর্ঘটনায় কারোর হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

Another incident of fire in the express train.

দুর্ঘটনায় সবাই নিরাপদ রয়েছেন: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, গোদান এক্সপ্রেস মুম্বই এবং গোরক্ষপুরের মধ্যে চলাচল করে। হোলির কারণে এই দিনগুলিতে প্রচুর মানুষ যাতায়াত করছেন ট্রেনে। এদিকে ট্রেনে আগুন লাগার খবরে স্বাভাবিকভাবেই যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক পরিলক্ষিত হয়। তবে, সৌভাগ্যবশত যাত্রীবাহী বগিতে আগুন না লাগায় বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে।

আরও পড়ুন: হোলিতে দেশজুড়ে ৫০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা! চিনা পণ্য ছুঁয়েও দেখছে না মানুষ

এদিকে, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রেলের আধিকারিকরা তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান এবং দমকলের কর্মীরা আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি রেলের কর্মীরাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।

আরও পড়ুন: কারোর পৌষমাস, কারোর সর্বনাশ! Paytm থেকে চাকরি ছেড়ে ১০,০০০ কোটির কোম্পানি গড়লেন কর্মচারীরা

এর আগেও ঘটেছে দুর্ঘটনা: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এর আগে সম্প্রতি রাজস্থানের আজমিরের মাদার রেলওয়ে স্টেশনের কাছে একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটে। সেখানে, সবরমতি থেকে আজমের হয়ে আগ্রা যাওয়া সবরমতি-আগ্রা সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের (ট্রেন নম্বর ১২৪৪৮) ইঞ্জিনসহ চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এমতাবস্থায়, ওই ট্রেন দুর্ঘটনার পর রেল চলাচল ব্যাহত হয়। যার জেরে রেল ওই রুটে চলাচলকারী ৬ টি ট্রেন বাতিল করে এবং ২ টি ট্রেনের রুট পরিবর্তন করে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর