বাংলা হান্ট ডেস্ক: আবারও কাশীর এক মন্দিরে পুজো করারা অনুমতি দাবি করলো হিন্দু সংগঠন। গত বছরই পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’ এবং মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে তা পুজো করারা দাবি জানিয়ে বারাণসী আদালতে মামলা দায়ের করে। সেই মামলার শুনানি চলছে এখনও। এরই মধ্যে কাশীর আর এক মসজিদে পুজো করার অনুমতি চেয়ে জমা পড়ল পিটিশন। ৪ জুলাই সেই মামলার শুনানি দিন ধার্য হয়েছে।
বহুদিন ধরেই মথুরায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমিতে নির্মিত শাহী ইদগাহ মসজিদ নিয়ে চলছে বিতর্ক। সম্প্রতি জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরে ‘শিবলিঙ্গ’ থাকার দাবি ঘিরেও তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। এই আবহেই এবার নতুন সংযোজন কাশীর পঞ্চগঙ্গা ঘাটের কাছেই অবস্থিত এক মসজিদ। আবেদনকারীদের দাবি, ‘বারাণসী গেজেটার’ নামের এক ইতিহাস বইয়ে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে পঞ্চগঙ্গার তীরেই বিন্দুমাধব মন্দিরের কথা। সেই মন্দিরের আরাধ্য দেবতা ছিলেন স্বয়ং বিষ্ণু। কিন্তু ইতিহাস বলছে ঔরঙ্গজেব ওই মন্দির ধ্বংস করে দেন। সেখানেই তৈরি হয় বর্তমান মসজিদটি।
আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী রাজা আনন্দ জ্যোতি সিং জানিয়েছেন, পিটিশনে ওই মন্দির পুনর্নিমাণের দাবিও জানানো হয়েছে। আগামী শনিবার জ্ঞানবাপী মসজিদের মামলার শুনানির দিনই এই মামলারও শুনানির দিন ঠিক হয়েছে।
২০০২ সালে প্রথমবার আলোচনায় উঠে আসে ‘বেণীমাধব কা ধারাহারা’র নাম। সেই সময় পঞ্চগঙ্গা ঘাটের কাছে বসবাসকারী কয়েকজন তৈরি করেন ‘বেণীমাধব কা ধারাহারা বাঁচাও সমিতি’। উদ্দেশ্য ছিল, ওখানে নির্মিত সৌধের রক্ষা। দাবি, সেই সৌধের মধ্যেই নাকি ছিল বিন্দুমাধব মন্দির। ১৯৯৭ ও ২০১৪ সালে যথাক্রমে স্বাধীনতা দিবস ও প্রজাতন্ত্র দিবসে পতাকা উত্তোলন করতেও চেয়েছিলেন হিন্দুত্ববাদিরা। সেই সময় পুলিশ তাঁদের অনুমতি দেয়নি। সেই বিতর্কই নিল এবার নয়া মোড়।
এদিকে জ্ঞানবাপী মসজিদের চত্বরে ভিডিও সার্ভের সময় তোলা ভিডিও ও ছবি ফাঁস হয়ে যাওয়ার শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। হিন্দুত্ববাদিরা সম্পুর্ণ অস্বীকার করেছে সার্ভের ভিডিও, ছবি ও রিপোর্ট ফাঁস করার অভিযোগ। কিন্তু মুসলিমদের দাবি ভইরাল হওয়া ওই ভিডিও ও ছবি ফাঁস করেছে হিন্দুরাই।