বাংলা হান্ট ডেস্ক: উত্তর-পশ্চিম দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরীতে ঘটা হিংসাত্মক ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, এই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত আনসারকেও ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও, ওই ঘটনায় যিনি গুলি চালিয়েছিলেন সেই আসলামও দিল্লি পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। এদিকে, দুর্ভাগ্যজনক এই ঘটনায় ৮ পুলিশকর্মী সহ মোট ৯ জন আহত হয়েছেন।
জানা গিয়েছে যে, ৩৫ বছর বয়সী আনসার জাহাঙ্গীরপুরীর বি ব্লকের বাসিন্দা। এর আগেও দু’টি হামলার ঘটনায় তাঁর যুক্ত থাকার প্রসঙ্গ ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। এমনকি, উনি পূর্বে গ্রেফতারও হয়েছেন। এর পাশাপাশি অস্ত্র আইন ও জুয়া আইনে ৫ বার মামলা হয়েছে তাঁর নামে।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মোহাম্মদ আনসারের জন্ম হয় জাহাঙ্গীরপুরীর বস্তিতে। তাঁর পিতার নাম মোহাম্মদ আলাউদ্দিন। আনসার মাত্র চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন। তাঁর স্ত্রীর নাম সাকিনা ও ছেলের নাম সোহেল। আনসারের ভাইয়ের নাম আলফা। এছাড়াও, তাঁর শ্যালক মেওয়াতের নুহতে থাকেন বলে জানা গিয়েছে।
দিল্লি পুলিশ ২০০৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তাঁর নামে রেকর্ড প্রস্তুত করে। প্রথমে ছুরিসহ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ওই রেকর্ড অনুসারে জানা গিয়েছে যে, তাঁর বিরুদ্ধে ২ টি মামলা রয়েছে। প্রথম মামলায় তাঁকে একটি ছুরিসহ গ্রেফতার করা হয় এবং আনসারের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের একটি ধারা আরোপ করা হয়। অপরদিকে, দ্বিতীয় মামলাটি হয় ২০১৮ সালের জুলাই মাসে। ওই সময়ে সরকারি কর্মচারীকে লাঞ্ছিত করা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
এদিকে, জাহাঙ্গীরপুরীর হিংসাত্মক ঘটনায় জাহাঙ্গীরপুরি থানার ইন্সপেক্টর রাজীব রঞ্জনের বিবৃতি অনুসারে জানা গিয়েছে যে, এফআইআরে বলা হয়েছে মিছিলটি শান্তিপূর্ণভাবে চলছিল। সন্ধ্যা ৬ টায় যখন মিছিলটি সি-ব্লকের জামে মসজিদের কাছে পৌঁছয়, তখন আনসার নামে একজন যুবক সেখানে পৌঁছন। তাঁর সঙ্গে থাকা আরও ৪-৫ জন হঠাৎই মিছিলে থাকা লোকজনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু করেন। এদিকে, তর্ক বাড়ার সাথে সাথে উভয় পক্ষের মধ্যে পাথর ছোঁড়াও শুরু হয়। যে কারণে মিছিলে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
#WATCH | Accused in Jahangirpuri violence case being taken to Rohini court pic.twitter.com/UZZPobYZ4n
— ANI (@ANI) April 17, 2022
এদিকে, পাথর নিক্ষেপ বন্ধ করে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়ে পুলিশ দুই পক্ষকে আলাদা করার চেষ্টা করলেও কয়েক মিনিট পর হঠাৎ করেই উভয় পক্ষ থেকে স্লোগান ও পাথর ছোঁড়া শুরু হয়ে যায়। এরপর কন্ট্রোল রুমকে খবর দেওয়ার মাধ্যমে ঘটনাস্থলে পুলিশ ডাকা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জনগণকে শান্তি বজায় রাখার জন্য বারবার আবেদন জানালেও ক্রমাগত পাথর ছুঁড়তে থাকে উত্তেজিত জনতা। এমতাবস্থায়, ৪০-৫০ টি কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।