বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক সময়ে দেশে একাধিক ইস্যুকে কেন্দ্র করে ক্রমশ তলানিতে গিয়ে ঠেকছে বিরোধী ঐক্য। সম্প্রতি, দেশে রাষ্ট্রপতি (President)এবং উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সেই চিত্রই ধরা পড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ সকল ঘটনা মোদি সরকারের মুখে হাসি ক্রমশ চওড়া করে তুলেছে। তবে এবার আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত দুর্নীতি আইনে সুপ্রিম রায়কে কেন্দ্র করে অবশেষে এককাট্টা হল দেশের ১৭ টি বিরোধী দল।
প্রসঙ্গত, দেশে মানি লন্ডারিং অ্যাক্টকে সংশোধন করে তা পূর্বের তুলনায় আরো বহু পরিমাণে শক্তিশালী করা হয়েছে। তবে সম্প্রতি এই আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে বেশ কয়েকটি মামলায় দায়ের করা হলেও পরবর্তী ক্ষেত্রে সেগুলি খারিজ করে দেয় উচ্চ আদালত। একইসঙ্গে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির ক্ষমতা আরো বৃদ্ধি করার প্রসঙ্গে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট আর এবার সেই রায়কে ‘বিপজ্জনক’ বলে মন্তব্য প্রকাশ করল বিরোধী দলগুলি। একইসঙ্গে পুনর্বিবেচনা চাওয়া হয়েছে বলে খবর।
দেশে মোট ১৭ টি বিরোধী দলের তরফ থেকে এদিন একটি বিবৃতি ঘোষণা করা হয়। যেখানে জানানো হয়েছে, “আশা করি, বিপজ্জনক এই রায়টি বেশি দিন টিকবে না। এক্ষেত্রে শেষ কথা বলবে সংবিধান।” এদিন এই বিবৃতিতে তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস, DMK-র পাশাপাশি আম আদমি পার্টি, সিপিএম এবং অন্যান্য একাধিক বিরোধী দলগুলি স্বাক্ষর করেছে।
উল্লেখ্য, দেশে বিরোধী দলগুলিকে কোণঠাসা করার জন্য বিজেপি সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে চলেছে, বর্তমান সময়ে এভাবেই কেন্দ্র সরকারের দিকে অভিযোগ করে আসে বিরোধী দলগুলি। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একাধিক মামলা দায়ের করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। তবে অধিকাংশ মামলাই খারিজ হয়ে যায়। ইডির ক্ষমতা প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, “গ্রেফতারি থেকে শুরু করে কোনো সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত কিংবা অন্যান্য যেকোনো ক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার রয়েছে ইডির। এক্ষেত্রে গ্রেফতারের কারণ জানানো বাধ্যতামূলক নয়।”
তবে বর্তমানে এর বিরুদ্ধেই সুর চড়িয়ে চলেছে বিরোধী দলগুলি। একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মোদী সরকারের আমলে ইডির অভিযান অতীতের তুলনায় বহু গুনে বেড়েছে। তবে বিগত কিছু সময়ে ৩০০০-এর উপর মামলায় ইডির অন্তর্ভুক্তি ঘটলেও অভিযুক্ত হিসেবে এক্ষেত্রে মাত্র ২৩ জনের অপরাধ প্রমাণ করা গিয়েছে আর এবার এর বিরুদ্ধে দেশের বিরোধী দলগুলির এককাট্টা হওয়া বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কোন নতুন মোড় নিয়ে আসে, সেটাই দেখার।