বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর থেকে নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে তোলপাড় রাজ্য। শিক্ষক কেলেঙ্কারির অভিযোগে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে বহু তৃণমূল নেতা বিধায়ক। অন্যদিকে, গরু পাচার মামলায় বর্তমানে তিহাড়ে ঠাঁই হয়েছে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। পাশাপাশি কয়লা পাচার, আবাস দুর্নীতির অভিযোগ তো রয়েছেই। একথায় নানা অভিযোগে বিদ্ধ শাসকদল (Trinamool Congress)। যার দরুন নানা সময়ে বিরোধীদের দেখা গিয়েছে শাসকদলকে ‘চোর’ স্লোগান দিতে।
তবে এবার আর বিরোধী নয়। খোদ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বৈঠকে ‘চোর, চোর’ স্লোগান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ভার্চুয়াল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে ভার্চুয়ালি হাজির ছিলেন সংগঠনের রাজ্য, জেলা নেতৃত্ব সহ জেলা সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের সদস্যেরা।
আর সেখানেই কেলেঙ্কারি কাণ্ড। বৈঠকের মাঝেই উঠল তৃণমূল- বিরোধী ‘চোর চোর’ স্লোগান। যিনি এই স্লোগান দেন, তিনিও সেই ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এই ঘটনাটার পরই শোরগোল পরে যায়। ‘কে এই অসভ্যতা করল’, ‘কে ভুলভাল লোকেদের লিঙ্ক দিয়েছে’, এসব মন্তব্য উঠতে শুরু করে। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
তবে পরে দলীয় নেতৃত্বের আশ্বাসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ঠিক করা হয়, এরপর লিঙ্ক দেওয়ার আগে নামের তালিকা তৈরি করা হবে। সেই হিসেবে পাঠানো হবে লিঙ্ক। জানা গিয়েছে, টিএমসিপি-র মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ সাংগঠনিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ব্লক, শহর, কলেজ ইউনিট প্রভৃতির সদস্যদের নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেন।
তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে চলতি মাসেই পশ্চিম মেদিনীপুরে আসার কথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই লক্ষ্যেই প্রস্তুতি আলোচনা নিয়ে তৃণমূলের ওই বৈঠক ছিল। তবে সেই মিটিংয়েই বাঁধল জোর গন্ডগোল। পরে এই বিষয়ে জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘বিশৃঙ্খলা যারা করেছে, তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’