বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোট মিটে গিয়েছে কিন্তু উত্তাপ কমেনি। ফের একবার কার্যত এরই দৃষ্টান্ত মিলল ব্যারাকপুর এলাকায়। রাজনৈতিক তাপ উত্তাপের জেরে প্রায়শই সংঘর্ষের ছবি উঠে আসে ব্যারাকপুর ভাটপাড়া সংলগ্ন এলাকা থেকে। এদিন খোদ বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর উপর এই হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল কিছু দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। তৃণমূলের অভিযোগ, ওই দুষ্কৃতীরা মূলত বিরোধীদের মদতপুষ্ট।
জানা গিয়েছে, রবিবার ব্যারাকপুর স্টেশন সংলগ্ন হনুমান মন্দিরের পাশে কর্মীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলছিলেন বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। পুর-প্রশাসক উত্তম দাস সহ একাধিক তৃণমূল নেতা উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। হঠাৎই প্রায় ৩০ জন দুষ্কৃতী সশস্ত্র অবস্থায় এই বৈঠকে হামলা চালায়। তাদের মূল লক্ষ্য ছিলেন বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় এ যাত্রায় বেঁচে যান রাজ।
তবে বিধায়ক বেঁচে গেলেও গুরুতর জখম হয়েছেন ৬ জন তৃণমূল কর্মী। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে টিটাগর থানার পুলিশ। এই হামলার ঘটনায় যুক্ত সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৩ জনকে। প্রসঙ্গত পরিচালক রাজ চক্রবর্তী ভোটের ঠিক আগেই যোগদান তৃণমূলে। ব্যারাকপুরের মত কঠিন সিট থেকে তৃণমূলকে জয়ও এনে দিয়েছেন তিনি। আর সেই কারণেই বিরোধীদের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা তার উপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করছে তৃণমূল।
এই হামলার সঙ্গে যুক্ত বাকিদের খোঁজে এখন তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। আহত তৃণমূল কর্মীদের কলকাতায় এনে চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে। ভোট মিটে গিয়েছে, মিটে গেছে বাক্যবাণে আক্রমণ প্রতিআক্রমণের পর্ব। কিন্তু এই রক্ত আর কতদিন ঝরবে সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।