বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রেশনের ওপর নির্ভরশীল এদেশের বহু পরিবার। সেখান থেকে যে চাল, গম পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে অনেকের। এবার এই রেশন কার্ড (Ration Card) নিয়েই সামনে আসছে বড় খবর! শোনা যাচ্ছে, একধাক্কায় বাতিল হতে পারে একাধিক কার্ড। ইতিমধ্যেই খাদ্য দফতরের (Food Department) তরফ থেকে কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
বাতিল হতে পারে হাজার হাজার রেশন কার্ড (Ration Card)!
জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৫৪ লক্ষ ৯৯ হাজার মানুষ অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনার আওতায় রয়েছেন। তবে এখনও অনেক মানুষ রয়েছেন যারা এই প্রকল্পের অধীন আসতে পারেননি। তাঁরা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এবার তাঁদেরকেই অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনার সুবিধা দিতে উদ্যোগী রাজ্য।
এই আবহে সামনে এসেছে চমকে দেওয়া পরিসংখ্যান! খাদ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে AAY-এর অধীন তিন লক্ষের বেশি এক সদস্যের পরিবারের গ্রাহক রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একটি বৃহৎ অংশের বয়স আবার ১৮ বছরের কম। ফলে আদৌ এই ধরণের গ্রাহকের কোনও অস্তিত্ব রয়েছে কিনা অথবা তাঁরা আলাদাভাবে বাস করছেন কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে। তাই এবার খাদ্য দফতরের তরফ থেকে নির্দেশিকা জারি করে এই ধরণের গ্রাহকদের বিষয়ে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ অযোগ্য তালিকার বাইরে ১৭,২০৬ জন! লিস্ট কেন প্রকাশিত হয়নি? কারণ জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
আধিকারিকদের দাবি, এই পরিমাণে এক সদস্যের পরিবার থাকাটা অবাস্তব নয়। তবে ১৮ বছরের কম বয়সি গ্রাহকরা যে আলাদা থাকছে, সেই পরিসংখ্যান বাস্তবসম্মত নয়। তাই এই বিষয়ে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে যদি এই ধরণের গ্রাহকের খোঁজ না পাওয়া যায়, তাহলে অবিলম্বে কার্ড নিষ্ক্রিয় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বা এই গ্রাহকরা আলাদা হিসেবে থাকলে অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট পরিবারের সঙ্গে কার্ড যুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনার (Antyodaya Anna Yojana) অন্তর্ভুক্ত রেশন গ্রাহকদের প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন সুরক্ষা যোজনার আওতায় পরিবারপিছু মাসিক ৩৫ কেজি চাল ও গম ফ্রি-তে দেওয়া হয়। এছাড়া স্পেশ্যাল প্রায়োরিটি ও প্রায়োরিটি শ্রেণির গ্রাহকদের মাসিক মাথাপিছু ৫ কেজি করে চাল-গম দেওয়া হয়। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারগুলি মূলত এই ধরণের কার্ড পায়।
এবার অন্ত্যোদয়ের অধীন একাধিক রেশন কার্ড (Ration Card) নিয়েই খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিল খাদ্য দফতর। এর ফলে একদিকে যেমন ‘ভুয়ো’ কার্ড বাদ দিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে। তেমনই বহু গরিব পরিবারকে এই প্রকল্পের অধীন আনা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।