বাংলা হান্ট ডেস্ক : আজ শনিবার কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে (Asansol District Hospital) নিয়ে যাওয়া হয় গোরুপাচার মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে (Trinamool Congress Leader Anubrata Mondal)। শুক্রবার আদালতের শুনানি চলার সময় বিচারককে তিনি ফিসচুলার সমস্যার কথা জানান।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, অনুব্রতর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের পক্ষ থেকে ছ’জনের একটি টিম তৈরি করে দেওয়া হয়। দু’জন নার্স ও একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট ছাড়া সেই দলে ছিলেন তিনজন চিকিৎসক। তাঁদের মধ্যে একজন মেডিক্যাল অফিসার, একজন শল্য চিকিৎসক ও একজন এমারজেন্সি চিকিৎসক। শনিবার এই বিশেষ ছ’জনের দল অনুব্রত মণ্ডলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, অনুব্রতর মণ্ডলের রক্তচাপ ১০৬/৮০, পালস রেট ৮২ এবং রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৬ শতাংশ। হাসপাতালের সুপার জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে অনুব্রত মণ্ডলের ওজন ৯৫ কেজি। কয়েকদিন আগে তাঁকে যখন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে আসা হয়, তখন তাঁর ওজন ছিল ৯১ কেজি। অর্থাৎ ৪ কেজি ওজন বেড়েছে কেষ্টর।
গোরুপাচার মামলায় বন্দি হয়ে আসানসোল সংশোধনাগারে আসার পর থেকেই হুহু করে কমছিল অনুব্রত মণ্ডলের ওজন। প্রথমে ১১৫ কেজি থেকে কমে তাঁর ওজন হয় ১১০ কেজি। পরবর্তীকালে কমতে কমতে ১০০ কেজি এবং শেষবার ৯১ কেজি হয়। এই প্রথম আসানসোল সংশোধনাগারে থেকে তাঁর ওজন বাড়ে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, গরু পাচার কাণ্ডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের করা মামলায় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে অঅনুব্রত মন্ডলকে কবে পেশ করা হবে, সেই বিষয়ে এখনো কোনও সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। ইডির করা মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে অনুব্রত মণ্ডলের করা মামলা দিল্লি হাইকোর্ট খারিজ করে দিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট শনিবার ডিভিশন বেঞ্চের শুনানি হবে। সেই শুনানির দিকেই কি তাকিয়ে থাকবে আসানসোল সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ।
সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য তারা আসানসোল দুর্গাপুর পুলিসকে আগেই মেমো দিয়ে দিয়েছে। এখন দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পুরো দায়িত্ব আসানসোল দুর্গাপুর পুলিসের। এদিকে দিল্লি যাত্রা রুখতে মরিয়া অনুব্রত। হাইকোর্টে আবেদন কেষ্টর আইনজীবীর। দিল্লির আদালতে অনুব্রতকে পেশের অনুমতি অনুমতি দিয়েছে আসানসোল আদালত।