বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) দিল্লিতে (Delhi) নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ইডি (ED)। দাপুটে সব অফিসারদের নিয়ে তৈরী হয়েছে বিশেষ দল। সেখানেই তদন্তকারীদের একের পর এক প্রশ্নের মুখে কেষ্ট। মাত্র ৬ দিনে সম্পূর্ণ নগদ অর্থে ছ’কোটি টাকার সম্পত্তি কিনেছিলেন অনুব্রত। কী তার উৎস? নেতাকে প্রশ্ন ইডির।
ইডির প্রশ্ন, সামান্য রাজনৈতিক নেতা হয়ে কিভাবে এত টাকা পেলেন অনুব্রত? বিপুল এই টাকার পেছনে কোন রহস্য লুকিয়ে রয়েছে! তবে তদন্তকারীদের এই সকল প্রশ্নের কোনো সদুত্তর অনুব্রত দিতে পারেননি বলে সূত্রের খবর। কেষ্টর কথায়, অনেক দিনের পুরনো ঘটনা। তাই মনে করতে পারছেন না। অন্যদিকে ইডিও হাল ছাড়তে নারাজ।
জানা গিয়েছে, অনুব্রতর জন্য প্রশ্নমালা সাজিয়েছেন ইডির দুঁদে অফিসাররা। গরু পাচার কাণ্ডের অন্য অভিযুক্ত সায়গল হোসেন, এনামুল হক ও কেষ্ট কন্যা সুকন্যার বয়ানের ভিত্তিতেই প্রশ্নপত্র সাজিয়েছেন প্রশ্নকর্তারা। সেই মতোই হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ। অন্যদিকে, সূত্রের খবর, প্রথম দিনের জেরাতেই নাকি সায়গল-সুকন্যার বয়ান শোনার জেরা চলাকালীনই কান্নায় ভেঙে পড়েন ‘বীরভূমের বাঘ’।
কেষ্টর দাবি, “আমি কোনও অন্যায় করিনি। আমার কোনও দোষ নেই।” তবে তার জবাবে ইডি আধিকারিকরা সন্তুষ্ট নন বলেই জানা গিয়েছে। ইডির দাবি, ২০১৪ সালে নভেম্বর মাসে মাত্র ছয় দিনের মধ্যে নগদ ৬ কোটি টাকায় প্রচুর জমি কেনেন অনুব্রত। বীরভূমের কালিকাপুর মৌজায় অধিকাংশ জমি কেনা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। যার মালিকানা ছিল মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের নামে।
শুধু তাই নয় ইডি সূত্রে খবর, সুকন্যার পাশাপাশি অনুব্রতর নিজের নামেও প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে। তবে সামান্য জেলা তৃণমূলের সভাপতি হয়ে কিভাবে এত অর্থ এত সম্পত্তির মালিক অনুব্রত ও তার পরিবার! এই প্রশ্নের রহস্য উদ্ধার করতেই মরিয়া ইডি। জানা গিয়েছে, তদন্তে ঠিক ভাবে সহযোগিতা করছেন না অনুব্রত। তবে তদন্তকারীরাও ছাড়ার পাত্র নন। তারাও কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছেন।