বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর গরু পাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) গ্রেফতার হওয়ার পর বর্তমানে শ্রীঘরে দিন যাপন করছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি তথা হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা (Trinamool Leader) অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। বহুবার জামিনের আবেদন করেও হয়নি কোনো সুরাহা। প্রভাবশালী তত্ত্ব আষ্টে-পৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে ‘বীরভূমের বাঘকে’। এবার সেই প্রভাবশালীর বিরুদ্ধেই আরও বিস্ফোরক সিবিআই (CBI)। জেলে বসেই ৩৯ বার এনামুলকে (Enamul Haque) ফোন করেছেন অনুব্রত। এদিন আদালতে এমনটাই জানাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে (High Court) ছিল কেষ্টর জামিনের আবেদনের শুনানি। কিন্তু এদিনই অনুব্রতর জামিন রুখতে ফের বিস্ফোরক তথ্য নিয়ে হাজির কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তকারী সংস্থা এদিন আদালতের কাছে জানায়, নিজের ক্ষমতা খাটিয়ে জেলে বসেই এনামুলের সাথে যোগাযোগ রাখতেন অনুব্রত। একবার দুবার নয়, জেলবন্দি অবস্থায় বহুবার ফোন করেছিলেন তাঁকে।
তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের আইনজীবী এদিন কেষ্টর জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে জানান, ‘অনুব্রত জেলে বসেই এনামুল হকের সঙ্গে আইফোনের ফেসটাইম ব্যবহার করে কথা বলেছেন।’ শুধু তাই নয়, গরু পাচার মামলার আরেক অন্যতম অভিযুক্ত এনামুলকে জেলে বসেই ৩৯ বার ফোন করা হয়েছে বলেও দাবি করে সিবিআই।
বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চে এদিন কেষ্টর জামিন মামলার শুনানি ছিল। আদালতে অনুব্রতর জামিনের পক্ষে সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী কপিল সিব্বল। সিব্বলের দাবি, গরুপাচার মামলায় বিএসএফ অধিকর্তা সতীশ কুমার, এনামুল হক এরা সকলে ইতিমধ্যেই জামিন পেয়েছেন। কিন্তু জামিন পাননি তাঁর মক্কেল অনুব্রত মণ্ডল।
অন্যদিকে অনুব্রতর জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই এর আইনজীবী আদলতে জানান , অনুব্রত অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি প্রভাবশালী। তাই তাঁকে জামিন দিলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করার একটা আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। এরপরই সিবিআইয়ের আইনজীবী জনৈক শ্রীযুক্ত সিনহার নাম উল্লেখ করে বলেন, অনুব্রত মামলায় তাঁর ওপরও চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। গতকাল কেষ্টর জামিন মামলার শুনানি শেষ হলেও রায়দান আপাতত স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। চলতি সপ্তাহেই এই মামলার রায়দান হতে পারে বলে জানিয়েছে আদালত।