সংবাদমাধ্যমের বুম ঠেললেন, দিলেন সজোরে ধাক্কা! গ্রেফতারির পরে মেজাজ তিরিক্ষি অনুব্রত মণ্ডলের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সাংবাদিকদের প্রশ্ন শুনেই মেজাজ হারালেন অনুব্রত। মেয়ের কথা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো মাইক্রোফোন চেপে ধরলেন। ফের পুরনো ফর্মে গর্জে উঠলেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। কমান্ড হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার পর বেলা আড়াইটা নাগাদ নিজাম প্যালেসে পৌঁছান অনুব্রত মণ্ডল। এদিকে, নিজাম প্যালেসে অনুব্রত মণ্ডলের পৌঁছনোর আগে থাকতেই সেখানে গিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা হাজির হয়েছিলেন। সেখানেই এই দাপুটে নেতার একটু সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তারা। বলা বাহুল্য, সবার কাছেই তখন তৈরি ছিলো প্রশ্ন।

এদিকে, গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে সংবাদমাধ্যমের কোনও প্রশ্নেরই জবাব দেননি কেষ্ট। শত প্রশ্নেও তাঁকে নির্বিকার থাকতেই দেখা গিয়েছে। এবার, মুখ খুললেন তিনি। নিজাম প্যালেসে সিবিআই এর সাদা গাড়ী এসে ঢুকতেই, সাংবাদিকরা ছুটে যান সেদিকেই। অনুব্রত মণ্ডলের উদ্দেশ্যে এরপর তারা প্রশ্ন করতে থাকেন। ঠোঁটের কোণে হালকা হাসি নিয়েই গাড়ি থেকে নেমেছিলেন তিনি। তাকে দেখেই মনে হচ্ছিল, বেশ ফুরফুরে মেজজেই আছেন। স্বমহিমায় তাকে আগের মত রূপেই দেখা গেছিলো ।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকদের কৃত প্রশ্নের মাঝে হঠাৎই তার কানে যায় এক সাংবাদিকের প্রশ্ন – “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো আপনার পাশে রয়েছে, আপনি কিছু বলবেন?” আর এই প্রশ্ন শুনেই তেলেবেগুনে ক্ষেপে ওঠেন অনুব্রত। মুখের ওপর উত্তর দেন “কিছু বলব না।’ অর্থাৎ কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে তিনি অনিচ্ছুক। শুধু এটুকু বলেই ক্ষান্ত হননি তিনি। সেই সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিকে সজোরে এক ধাক্কাও মারেন তিনি। এবং উত্তর দেন ” খুশি?”

এরপর তিনি তার স্ব- ভঙ্গিমাতেই দুজনের কাঁধে ভর দিয়ে ভিড় ঠেলে সিঁড়ি দিয়ে উঠছিলেন  ইতিমধ্যে ভিড়ের মাঝে তাঁর পায়ের চটি ভিড়ের চাপেই খুলে যায় হঠাৎই। তিনি চটি ঠিক করতে গেলে সেসময় আরও এক প্রতিনিধি প্রশ্ন করেন, ‘মেয়ের সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে কিছু বলবেন?’ আর বলা বাহুল্য এতে রীতিমত ক্ষেপে ওঠেন তিনি। রেগে গিয়ে প্রশ্নকর্তার হাতের বুম কেড়ে নিতে যান তিনি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় এই দৃশ্য ধরা পড়ে।

Untitled design 2022 08 13T141300.282

অনুব্রতর গ্রেফতারির পরেই তার মেয়ের সম্পত্তির বৃদ্ধি নিয়েও লাগাতার উঠে আসছে। তদন্ত শুরু করেছেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দা বিভাগ। যদিও, ঘটনাচক্রে, দু’দিন আগে রবিবারই অনুব্রতের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে, সব মিলিয়েই জোর বিতর্ক লেগেছে রাজনৈতিক মহলে।

 


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর