বাংলা হান্ট ডেস্ক : গ্রেফতার হয়েছেন গত বছর। এর মধ্যে ঘটেছে অনেক ঘটনাই। তাঁর ঠিকানা এখন তিহাড়। কিন্তু, এত কিছুর পরও দলে অক্ষুণ্ণ রইল তাঁর পদ। বীরভূমের (Birbhum) সভাপতি পদে রইলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। জেলা সভাপতি পদ থেকে সরানো হল না গরু পাচার মামলার অন্যতম অভিযুক্ত অনুব্রতকে।
শুক্রবার বীরভূম নিয়ে বিশেষ বৈঠক হয় কালীঘাটে। উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলার একাধিক নেতা। সেই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তৃণমূলের দলীয় সূত্রে খবর। তবে আপাতত অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে জেলা সংগঠন দেখবেন স্বয়ং তৃণমূল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া বীরভূমের জন্য থাকবে ৫ জনের একটি বিশেষ কমিটি। সেই কমিটিতে থাকছেন মন্ত্রী মলয় ঘটক এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও।
প্রায় ৮ মাস আগে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। দীর্ঘদিন ধরে আসানসোলের জেলে বন্দি ছিলেন তিনি। তারপরও সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়নি তাঁকে। শুধু সভাপতি পদ নয়, একসময় বকলমে বীরভূমের সর্বেসর্বা বলেই পরিচিত ছিলেন তিনি। তাঁর দাপটের কথা আজও বীরভূমে পা রাখলেই শোনা যায়। প্রথমে সিবিআই, পরে ইডির হাতে গ্রেফতার হন তিনি।
কেষ্টর দিল্লি যাওয়ায় পরই শুক্রবার কালীঘাটের এই বৈঠক নিয়ে জল্পনা ছিল। অনুব্রতর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয় কি না, সেদিকেই নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের। তবে এই সিদ্ধান্তে স্পষ্ট, জেলে থাকলেও কেষ্ট মণ্ডলের ওপর ভরসা কমেনি জোড়াফুল শিবিরের। মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় জানালেন যে তিনি নিজেই বীরভূমের সংগঠন দেখবেন।
প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে অবিলম্বেই পদক্ষেপ করেছিল তৃণমূল। তাঁকে দলীয় পদ থেকে সরানোর করার পাশাপাশি মন্ত্রিত্বও সরিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু অনুব্রত জেলে গেলেও তাঁর বিরুদ্ধে তেমন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। শুধু তাই নয়, দলীয় নেতারা মাঝেমধ্যেই অনুব্রতর পাশে থাকার বার্তাও দেন।