বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জেল থেকে বাড়ি ফিরেছেন গত সপ্তাহে। আস্তে আস্তে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। ২০২২ সালের অগস্ট মাসে গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। টানা দু’বছর জেলের ঘানি টেনে বাংলায় ফিরেছেন কেষ্ট। দীর্ঘদিন জেলের খাবার খেয়ে ওজন কমে প্রায় অর্ধেক। ওদিকে শারীরিক অসুস্থতাও রয়েছে। রবিবার সকালে
বোলপুরের বাড়ি থেকে কঙ্কালীতলার মন্দিরে পুজো দেন অনুব্রত। সন্ধ্যায় কলকাতা যাবার পথে তার প্ৰিয় শক্তিগড়ে দাঁড়ালেন। সেখানেই সেরে নিলেন টিফিন।
তিহাড় যাওয়ার আগে এই শক্তিগড়ে দাঁড়িয়েই মন্ডা-মিঠাই খেয়েছিলেন অনুব্রত। তবে এবার খাবারের বিষয়ে চরম সর্তক কেষ্ট। ল্যাংচা, মিষ্টি তো দূর, উল্টে খেলেন শুধু চিনি ছাড়া চা আর সঙ্গে শশা দিয়ে মুড়ি। সন্ধ্যার ভোজন সেরে রওনা দেন মহানগরীর উদ্দেশে। জামিন পাবার পর এই প্রথম কলকাতা যাচ্ছেন অনুব্রত। চিকিৎসার জন্যই তার কলকাতা যাত্রা।
কলকাতায় যাবেন আর দোলনেত্রীড় সঙ্গে দেখা করবেন না? অনুব্রত জানান, তার পৈতৃক বাড়িতে দুর্গাপুজো আছে। তাই এইবার কলকাতায় চিকিৎসা করিয়েই বাড়ি ফিরে আসবেন তিনি। তবে পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সঙ্গে দেখা করবেন।
গরু পাচার মামলায় ছাড়া পাওয়ার পর গত মঙ্গলবার নিজের বাড়িতে ফিরে কেঁদে ভাসিয়েছিলেন অনুব্রত। রবিবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়। এদিন সকালে কঙ্কালীতলার মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন বীরভূমের বাঘ। পুজো দিয়ে কেষ্ট বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কঙ্কালীতলা, ফুল্লরা, তারাপীঠ, পাথরচাপুড়িতে টাকা দিয়েছিলেন। উন্নয়ন কিছুটা বাকি রয়েছে। দীপাবলির পর সেই কাজ হয়ে যাবে।
ফের কবে সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে ফিরছেন অনুব্রত? মঙ্গলবার বাংলায় ফিরেও অনুব্রত বলেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে ভালোবাসেন, শ্রদ্ধা করেন। দু’জনার মধ্যে বৈঠক নিয়েও জল্পনা তুঙ্গে ছিল। তবে মঙ্গলবার জেলায় গিয়েও কেষ্টর সঙ্গে দেখা করা বা তার কথাও উল্লেখ করেননি দলের সুপ্রিমো।
আরও পড়ুন: সারপ্রাইস! পুজোর আগেই দুর্দান্ত কর্মসূচি অভিষেকের, সাধারণ মানুষের মুখে ফুটবে হাসি
এরপর বৃহস্পতিবার বোলপুরে জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে গিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন অনুব্রত। জানিয়ে দেন কালীপুজোর পর তিনি যাবেন ব্লকে ব্লকে। শনিবার কাজল সেখের সঙ্গেও দেখা করেন কেষ্ট। তবে দুজনার মধ্যে কি কথা হয়েছে তা দলের মধ্যেই রাখতে চেয়েছেন বীরভূমের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা।