থাকতে হবে তিহাড় জেলেই, জামিন নিতে গিয়ে আদালতে ধাক্কা খেলেন অনুব্রত

বাংলা হান্ট ডেস্ক : আবারও পিছিয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) জামিনের আবেদনের শুনানি। বৃহস্পতিবার দিল্লি হাই কোর্টে অনুব্রতর জামিনের আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে বিচারপতি দীনেশ শর্মা অনুপস্থিত থাকায় মামলার শুনানি আজ হয়নি। পরবর্তী শুনানি দিন আগামী ২৯ মার্চ।

গত বছরের আগস্ট মাসে বীরভূমের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mandal) গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করে সিবিআই। তদন্তে তাঁর নামে ও বেনামে বহু সম্পত্তির খোঁজ মেলে। এরপর ইডি’র নজরে পড়েন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, অনুব্রতকন্যা সুকন্যাকে দিল্লিতে জেরা করে ইডি। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অনুব্রত ও সুকন্যার হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও।

এরপর তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করার আবেদন জানায় ইডি। সেই সময় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তারই পালটা হিসাবে দিল্লিযাত্রা ঠেকাতে দিল্লি হাই কোর্টে জামিনের আবেদন জানান অনুব্রত মণ্ডল। অবশ্য দিল্লি যাত্রা আটকানো যায়নি। দিল্লিতে ইডি হেফাজত শেষে আপাতত তিহাড় সংশোধাগারে রয়েছেন কেষ্ট। আরও একবার দিল্লি হাই কোর্টে জামিনের আবেদন সংক্রান্ত মামলাই পিছিয়ে গেল। বিচারপতি অনুপস্থিত থাকায় মামলার শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে বলেই খবর। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৯ মার্চ। আগামী ৩ এপ্রিল রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে তোলা হবে অনুব্রত মণ্ডলকে।

anubrata jail

দুই মাস পেরিয়ে গেলেও গরুপাচার কাণ্ডে এখনও অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়নি। এর উপরে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের এক্তিয়ার, ইডির গ্রেফতারের পদ্ধতি, প্রোডাকশন ওয়ারেন্টর বৈধতা- এই চারটি বিষয়কে হাতিয়ার করে আদালতে তাঁর মক্কেলের হয়ে জামিনের আবেদন করতে চান অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী। সওয়ালের অনুব্রত মণ্ডলের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়টিকেও তুলে ধরা হবে বলে সূত্রের খবর। এর আগে গত ১৭ মার্চ এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল।

এদিকে, গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরে প্রায় ৬ মাস তাঁর অধীনেই ছিলেন আসানসোল জেল বা বিশেষ সংশোধনাগারে বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এবার সেই আসানসোল জেল সুপার কৃপাময় নন্দীকে দিল্লি ডেকে পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর