বাংলা হান্ট ডেস্ক : গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) গ্রেফতার হওয়ার পর একাধিক বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। এরই সঙ্গে নাম জড়িয়ে কেষ্টর হিসাবরক্ষক থেকে শুরু করে গাড়ির চালক পর্যন্ত। সে সব ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) হিসাব রক্ষক মনিশ কোঠারি তাঁর রাঁধুনি বিজয় রজকের নামও।
ইতিমধ্যেই বিজয় রজককে দিল্লির ইডির দফতরে ডেকে পাঠানো হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। তার কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পত্তি রয়েছে বলে অভিযোগ। তবে অভিযুক্ত বিজয় রজকের বাড়ি গিয়ে দেখা গেল একেবারে ভোল বদল। কোটিপতির বাড়ি যে এমন হতে পারে তা হয়তো ভাবাই যায় না। এমনকি তার বাড়ির অবস্থা দেখলে মায়া হওয়া স্বাভাবিক। তাহলে এত এত টাকা গেল কোথায়?
জানা যাচ্ছে, বিজয় রজকের বাবা একটি লন্ড্রি চালান। যেখান থেকে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৪০০ টাকার রোজগার হয়। মা সাধারণ একজন গৃহবধূ। বিজয়ের বাবা মদন লাল রজক দাবি করেন, তার ছেলে কোনরকম অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন না। তাকে ফাঁসানো হয়েছে। পার্টি অফিসে যেতেন এবং সেখানে নেতারা তার বিভিন্ন নথিপত্র নিয়েছিলেন। মাঝে মাঝে থেকে সই করাতেন। বিজয় সবকিছু করতো কেবলমাত্র কাজ টিকিয়ে রাখার জন্য। কিন্তু গরু পাচারের টাকা এসব সম্পর্কে কোন ধারণাই নেই।
হঠাৎ দেখলে বিজয় রজককে একজন মধ্যবিত্ত সাধারণ ঘরের ছেলে বলেই মনে হবে। তার বসত বাড়ি ২০ বছর আগে তৈরি করা হয়। সেই বাড়ির নিচের তলার পলেস্তারা খসে পড়ছে। অবশ্য সদ্য তৈরি হওয়া দোতলার অবস্থা বেশ ভালো। বিজয়ের বাবার পাশাপাশি তার মা ও দাবি করেন বিভিন্ন ছলনায় তাঁরে ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে।
এর সঙ্গে, বিজয় রজকের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, হঠাৎ করে ইডি তলব করার পর দিল্লি যাওয়ার জন্য ২৩ হাজার টাকা ধার করতে হয়েছে শ্যালকের কাছে। যে টাকা দিয়েই বিমানের টিকিট বুক করা হয়। পরিবারের এই দাবির পর প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি সত্যিই চক্রান্তের শিকার বিজয় রজক! এর উত্তর খুঁজতেই হয়রান তদন্তকারী আধিকারিকরা।