বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চলতি মাসেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গরু পাচার মামলার (Cow Smuggling Case) অন্যতম অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) নিয়ে দিল্লি পাড়ি দিয়েছে ইডির (ED) তদন্তকারী দল। চলছে টানা জিজ্ঞাসাবাদ। আর তাতেই উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। রীতিমতো অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের ‘খেলা’ চলছে ইডির সদর দপ্তরে! দিন দুয়েক আগেই ইডির কড়া জেরার মুখে পড়ে নিজের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গলের ওপর দুর্নীতির সমস্ত দোষ চাপান কেষ্ট। আর এবার ফাঁসালেন আরেক ব্যক্তিকে।
ইডি সূত্রে খবর, সায়গলের পর এবার নিজের হিসাবরক্ষক (CA) মণীশ কোঠারির (Manish Kothari) ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি কেষ্ট মণ্ডল। অন্যদিকে, কোঠারির দাবি, তার একমাত্র ভুল সিএ হওয়া। অনুব্রতর নির্দেশেই তিনি যাবতীয় কাজ করেছেন। কোনটা সত্যি, কোনটা মিথ্যে তা এখনও পরিষ্কার নয় তদন্তকারীদের কাছে। দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে ইডির তদন্তকারী।
জানা গিয়েছে, ইডির জেরায় অনুব্রত বলেছেন, “মণীশ আমাকে যেভাবে কালো টাকা সাদা করতে বলেছে, আমি করেছি।” উল্লেখ্য, এই প্রথম যে তিনি কারও নাম মুখে আনলেন তেমনটা নয়। দুদিন আগেই অনুব্রত বলেছিলেন, তিনি কিছু জানেন না, সব দেহরক্ষী সায়গল হোসেন করেছেন। এবার হিসাবরক্ষকের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমান করতে চাইছেন কেষ্ট। অন্যদিকে, মনীশ বলেন, “উনি (অনুব্রত) কারও কথা শুনতেন না। নিজের যা মনে হত করতেন।”
প্রসঙ্গত, গরু পাচার তদন্তের আরও গভীরে পৌঁছতে বুধবার দিল্লিতে ইডির সদর দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে (Sukanya Mondal)। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ইডি হাজিরা এড়ান তিনি। এরপর ২০ মার্চের মধ্যে অনুব্রতকন্যাকে ফের তলব করেছে ইডি।
অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পরই তার ঘনিষ্ঠ ১২ জনকে রাজধানীরে তলব করেছিল তদন্তকারী সংস্থার। সেই তালিকার প্রথমে নাম ছিল সুকন্যা ও মণীশের। জানা গিয়েছে, মণীশের সঙ্গে সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান ইডির অফিসাররা। পাশাপাশি অভিযুক্ত কেষ্টর মুখোমুখি বসিয়ে তাদের জেরা করা হবে বলেও সূত্রের খবর। অন্যদিকে, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূলকর্মী কৃপাময় ঘোষকেও দিল্লিতে তলব করেছে ইডি। দিন দিন এই মামলা কোন মোড় নেয় সেটাই এবার দেখার।