আজ প্রকাশ্য জনসভায় তৃনমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,এনআরসি রুখব। আর কেউ যদি মস্তানি করে তাকে গোরু-ছাগলের মতো পেটানোর নির্দেশ দিলেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিনিধি,বোলপুর,বীরভূমঃ ফের স্বমহিমায় অনুব্রত মণ্ডল। আজ বোলপুরের বাহিরী পাঁচশোয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাহিরী গ্রামে তৃণমূলের একটি জনসভা ছিল। সেই সভাতে উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল,জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরি,সহ-সভাপতি রানা সিংহ সহ একাধিক তৃনমূলের নেতাকর্মীরা।
ইতিমধ্যেই অসমে প্রকাশিত হয়েছে এনআরসি। যার জেরে ১৯ লাখ নাগরিকের নাম বাতিল হয়েছে। তারপর থেকেই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে অসমবাসী। বিজেপি নেতৃত্ব জানান এই এনআরসি চালু হবে পশ্চিম বাংলাতেও। এরপর থেকেই বিজেপিকে চড়া সূরে হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যায় তৃনমূলের একাধিক নেতাকে। যার মধ্যে অনুব্রতবাবুও পড়েন। আজ এই সভা থেকে তিনি আক্রমণাত্মক ভঙ্গীমায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন,এনআরসি রুখব৷ আর কেউ যদি ভাবে মস্তানি করবে তাহলে গোরু-ছাগলের মতো পেটাবে।”
এনআরসি প্রসঙ্গে মমতা ব্যানার্জিকে উদ্দেশ্যে করে তিনি আরোও বলেন,“রুখবো,মমতা ব্যানার্জি এমনই এক ভদ্রমহিলা তিনি আন্দোলন কি করে করতে হয় সেটা জানেন।তিনি প্রচন্ড মার খেয়েছেন বামফ্রন্টের আমলে। কিন্তু আন্দোলন থেকে সরে যায়নি। এনআরসি আমরাই রুখবো।”
মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় জনগণের উদ্দেশ্যে অনুব্রতবাবু বলেন,“মানুষের কাজ করলে তারা মনে রাখে ৷ মানুষ বেইমান নয় ৷ আমরা বেইমান।তাই মানুষ মমতা ব্যানার্জিকে ঠকাবে না।”
অনুব্রতবাবুকে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করে,যদি রাস্তা অবরোধ করে তাহলে?
প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “বেধড়ক পেটাবে।” তারপর সাংবাদিকেরা অনুব্রতবাবুকে ফের প্রশ্ন করেন,কারা মারবে? জবাবে তিনি বলেন,“যদি ক্যামেরা থাকে তাহলে দেখে নেবে।যদি ক্যামেরা না থাকে তাহলে দেখতে পাবে না।”
পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডল দলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি জহর হাজরাকে তীব্র আক্রমণ করে অনুব্রত বলেন,”সাধারণ গরিব মানুষের টাকাগুলো নিয়ে নিল৷ ছাড়বেন না ওকে৷ ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই।কড়ায় গণ্ডায় হিসাব মিলিয়ে নেবেন ৷ সাধারণ মানুষের পয়সা নেওয়ার অধিকার কারও নেই ৷”