বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একুশের নির্বাচনে যেমন বিজেপির ২০০ আসন জয়ের স্বপ্ন তথা বাংলায় ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন বানচাল হয়ে গিয়েছিল, তেমনই ভবানীপুরের উপনির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর স্বপ্নও জলে মিশে যায় বিজেপির। ভবানীপুরে কার্যত একতরফা জয় হাসিল করে নেন তৃণমূল নেত্রী। এমনকি তিনি নিজের পুরনো রেকর্ডও ভেঙে দেন।
২০১১ সালের থেকেও দ্বিগুণ ভোট পান মুখ্যমন্ত্রী মমতা। ভবানীপুরের প্রতিটি ওয়ার্ডেই তিনি জয় পান। ৫৮ হাজারেরও বেশি ভোটে পরাজিত হন বিজেপিপ্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। অন্যদিকে মাত্র ৪ হাজার ২০১টি ভোট পেয়ে জমানত বাজেয়াপ্ত হয় বাম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাসের। শুধু ভবানীপুরই না, সামশের গঞ্জ ও জঙ্গিপুরেও জয় হাসিল করে তৃণমূল কংগ্রেস।
বিজেপির প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল আক্ষেপের সুরে বলেছেন, ভবানীপুরের প্রতিটি বুথেই কমপক্ষে ১০০ করে ছাপ্পা ভোট পড়েছে। তিনি ভবানীপুরে বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতার কথাও স্বীকার করেছেন। এন্টালি বিধানসভা কেন্দ্রে হারের পর এক বছরে প্রিয়াঙ্কার এটি দ্বিতীয় পরাজয়।
ভবানীপুরে দলনেত্রীর জয় নিয়ে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেছেন, ‘শুভেন্দু পাগলের বাচ্চা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কারও তুলনা হয়না। শুভেন্দু মানুষের পর্যায়ে পড়ে না।” অনুব্রত মণ্ডল আরও বলেন, ‘মমতা ব্যানার্জী যে জিতবেন, এটা সবাই জানত। বিজেপি এখন ছাগলের মতো চড়ে বেড়াক।” অনুব্রত বলেন, আদালত যদি নন্দীগ্রামে পুনর্গণনার রায় দেয় তাহলে মমতা ব্যানার্জী সেখানে কমপক্ষে ৫০ হাজার ভোটে জয়ী হবেন।