পয়লা বৈশাখে মিলবে না বাংলার রসগোল্লা! পিছিয়ে গেল কেষ্ট মামলার শুনানি, আপাতত তিহাড়েই

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) গত বছর থেকে জেলবন্দি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বর্তমানে বাংলার সীমানা পেরিয়ে তিহাড়ে ঠাঁই হয়েছে তার। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি কেষ্টকে নিয়ে পাড়ি দিয়েছে দিল্লিতে। শারীরও খুব একটা ভালো নেই তার। এরই মধ্যে এদিন অনুব্রতর অস্বস্তি আরও কিছুটা বাড়িয়ে ফের তাকে ১২ দিনের জন্য তিহাড়ে পাঠানোর নির্দেশ দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত।

জানা গিয়েছে, আইনজীবীদের কর্মবিরতির জেরে সোমবার অনুব্রত মামলার যে শুনানি হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি। যার জেরে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত তিহাড় জেলে থাকতে হবে কেষ্টকে। যার ফলে বাঙালির পয়লা বৈশাখে দিল্লির তিহাড়েই থাকতে হবে ‘বীরভূমের বাঘ’ অনুব্রত মণ্ডলকে। একেই বেজায় খাদ্যরসিক কেষ্ট, তার ওপর বছরের দিনটি কাটতে চলেছে জেলবন্দি অবস্থাতেই। ফলে শরীরের পাশাপাশি এবার মনের কষ্টটাও আরও বেশি জোড়ালো হল বলেই মনে করছেন অনেকে।

উল্লেখ্য, গত শনিবার দিল্লির রোহিণী এলাকায় খুন হন দ্বারকা আদালতের এক আইনজীবী। সেই মৃত্যুর প্রতিবাদেই এদিন কর্মবিরতির ডাক দেন দিল্লির আইনজীবীরা। তাদের কর্মবিরতির জেরেই অ্যাডভোকেট না থাকায় এদিন বিচারকের ঘরেই পেশ করা হয় অনুব্রতকে। বিচারক জানান আগামী ১৫ এপ্রিল এই মামলার ফের শুনানি হব। তার আগে ১২ দিনের জন্য তাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

anubrata

অন্যদিকে, বুধবার দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High Court) অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল। সূত্রের খবর, এদিন বিচারক দীনেশ শর্মার ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার শুনানি (Hearing) প্রায় ৪ মাস পিছিয়ে দিয়েছে। যার মানে গিয়ে দাঁড়ালো আপাতত বেশ কিছু মাস তিহাড়েই জেলের ঘানি টেনে দিন কাটাতে হবে ‘বীরভূমের বাঘ’ তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডলকে। সূত্রের খবর, বুধবার শুনানি চলাকালীন বিচারক ইডি-র কাছে কেষ্টর জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করার কারণ জানতে চান। আদালতে ইডির আইনজীবী জানান অনুব্রতকে বহুদিন থেকেই নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছিল। কিন্তু তার তরফে একের পর এক মামলা করায় নিজেদের হেফাজতে নিতে তাদের অনেকটা সময় চলে যায়।

ডিরেক্টরেটের পাল্টা অনুব্রতর আইনজীবী আদালতে জানান, তার মক্কেলকে ইডি হেফাজতে নেওয়ার কারণ স্পষ্ট নয়। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে কোনও চার্জশিটও জমা দেওয়া হয়নি সেই বিষয়ও তুলে ধরা হয়। এরপর ফের অনুব্রতকে হেফাজতে নেওয়ার স্বপক্ষে বলেন ইডির আইনজীবী। দুপক্ষের কথা শুনে অনুব্রতর সব মামলার শুনানির জন্য আগামী ২৭ জুলাই ধার্য করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। আর অন্যদিকে, আজ দিল্লি হাইকোর্টে অনুব্রত আসানসোলে ফেরার আবেদন জানিয়ে মামলা করেছিল। সেই মামলার শুনানিও পিছিয়ে গেল বেশ কিছুদিন। যার মানে এখন দিল্লির তিহাড়েই দিন কাটাতে হবে বাংলার অনুব্রত মণ্ডলকে।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর