বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বেআইনি পাচার কাণ্ডে অস্বস্তি ক্রমশ বেড়ে চলেছে অনুব্রত মণ্ডল সহ তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের। অতীতে একাধিকবার তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর দেহরক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। এর মাঝেই কয়েকদিন পূর্বে জিজ্ঞাসাবাদের পর সায়গল হোসেনকে নিজেদের হেফাজতে নেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এবার আরও বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সেই হেফাজতের সময়সীমা আরো বাড়ানো হলো।
বেআইনি পাচার কাণ্ডে সায়গল হোসেনের সম্পত্তির উপর প্রথম থেকেই নজর ছিল সিবিআইয়ের। তার মাঝেই গতকাল আদালতে সিবিআই আইনজীবীর দ্বারা দাবি করা হয় যে, বর্তমানে সায়গল হোসেনের বেআইনি সম্পত্তির পরিমাণ বিশাল, যা নিয়ে তাদের যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। সূত্রের খবর, সিবিআই দ্বারা আদালতে পেশ করা নথি অনুযায়ী, অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর কাছে বর্তমানে পঞ্চাশটি বাড়ির দলিল রয়েছে। এক্ষেত্রে রাজারহাট, সল্টলেক মুর্শিদাবাদ এবং লেকটাউনের মতো জায়গায় তাঁর সম্পত্তি থাকার পাশাপাশি পাঁচটি crasher মেশিন, দশটি ডাম্পার এবং দু’কোটি টাকা রয়েছে। এই অভিযোগ যদি সত্যি হয় তবে একজন দেহরক্ষীর কাছে এত টাকা কি করে এলো, তা যথেষ্ট সন্দেহের বিষয় হয়ে উঠতে বাধ্য।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসের 10 তারিখ অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরে আদালত দ্বারা তাকে এক সপ্তাহের জন্য সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, হেফাজতে থাকার সময়সীমা শেষ হওয়ার পর পুনরায় তাকে আদালতে তোলা হলে এসকল নথিগুলি পেশ করে সিবিআই এবং বর্তমানে তা খতিয়ে দেখে সায়গল হোসেনকে আরো এক সপ্তাহের জন্য হেফাজতের নির্দেশ দিলো আদালত।
এক্ষেত্রে প্রথম থেকেই বিনা নোটিশে সায়গল হোসেনের মতো সরকারী কর্মচারীকে গ্রেফতার করা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন ঝুলে রয়েছে। এই প্রসঙ্গে অবশ্য সিবিআই জানায়, “কাকে গ্রেফতার করা হবে, সেই বিষয়ে পদক্ষেপ করার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে তাদের।” পরবর্তীতে দুই পক্ষের দাবি-দাওয়া শোনার পর অবশেষে সায়গলকে হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। বর্তমানে তার এহেন বিশাল সম্পত্তির খবর জানাজানি হওয়ার পরে শাসকদলের বিরুদ্ধে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে বিজেপি এবং সিপিএমের মতো দলগুলি। এক্ষেত্রে অনেকেই ঘুরিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে কটাক্ষ করে বলেন যে, সামান্য রক্ষীর যদি এত সম্পত্তি হয়, তাহলে দেহ(অনুব্রত) কত সম্পত্তির মালিক?