বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাবার পর গতকাল গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন কেষ্ট কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। টানা প্রায় আড়াই বছর শয্যাশায়ী থেকে মৃত্যু হয়েছিল বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) স্ত্রী। তাঁর মৃত্যুর পর থেকে পরিবার বলতে শুধু মেয়ে। গত বছর থেকে জেলবন্দি অনুব্রত। বাবাকে কাছে না পেয়ে একাধিকবার কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন সুকন্যা (Sukanya Mondal)। আর এবার মেয়ের গ্রেফতারির পর আর নিজেকে আটকে রাখতে পারলেন না অনুব্রত।
প্রসঙ্গত, এদিন ফের অনুব্রত মণ্ডলের শুনানি ছিল। তিহাড় থেকে এদিন ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শুনানিতে যোগ দেন তিনি ও গরু পাচার মামলাতেই ধৃত তার প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। শুনানির শুরুতে বিচারক অনুব্রতকে জিজ্ঞেস করেন কেমন আছেন? উত্তরে নিচু কণ্ঠে অনুব্রত বলেন, “একদম ভাল নেই। একদম না।”
অনুব্রতর আসানসোল জেলে ফেরা নিয়ে মামলা চলছে। সেই মামলার সম্পর্কে কেষ্টকে বিচারপতি জিজ্ঞেস করলে জবাবে অনুব্রত বলেন, “মামলা চলছে। আদালত চাইলে তাকে আসানসোলে ফেরত পাঠাতে পারে।” পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে ফলস কেস সাজিয়েছে সিবিআই। এমনটাও অভিযোগ করেন কেষ্ট মণ্ডল। অনুব্রতর সব কথা শুনে বিচারপতি বলেন, তিনি অনুব্রত মণ্ডলের কথা শুনলেন ঠিকই। কিন্তু এ সব কথা অর্থহীন। আদালতের কাছে শুধুমাত্র কাগজেরই মূল্য রয়েছে।
অন্যদিকে, আজ বৃহস্পতিবার অনুব্রত কন্যাকে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে পেশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত তাকে পাঁচদিনের ইডি হেফাজতে চাইতে পারেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। পূর্বে একাধিকবার সুকন্যাকে একাধিকবার জেরার জন্য দিল্লি ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু, প্ৰতিবারই অসুস্থতার কারণ জানিয়ে হাজিরা এড়িয়ে যাচ্ছিলেন সুকন্যা।
এরপর বুধবার দুপুর ১২টার পর প্রবর্তন ভবনে ইডির অফিসে হাজিরা দিতে হাজির হন সুকন্যা। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর কেষ্ট কন্যার কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়েছে বলে তাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা সংস্থা।