বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বহু কাঠখড় পুড়িয়ে গরু পাচার মামলার (Cow Smuggling Case) অন্যতম মূল অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) নিয়ে দিল্লি পাড়ি দিয়েছে ইডি (ED)। সেখানে নানা কলা-কৌশলে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির মুখ থেকে কথা বের করতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে তদন্তকারীরা। তৈরী হয়েছে ইডির বিশেষ টিম। চলছে টানা জিজ্ঞাসাবাদ। তবে কোনো কিছুতেই মুখ খুলতে নারাজ কেষ্ট মণ্ডল।
এরই মধ্যে গরু পাচার মামলার রহস্যভেদ করতে কেষ্ট কন্যা সুকন্যা, পাচারের মূল চক্রী এনামুল হক ও অনুব্রত-র প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, এই তিনজনার উপস্থিতিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দু’ পক্ষের বয়ান খাতায়-কলমে মিলিয়ে দেখতে চান তদন্তকারীরা। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যাকে দিল্লিতে তলব করেছে ইডি। আর এরই মধ্যে একেবারে পালটি খেলেন অনুব্রত।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, গরু পাচার মামলায় সব দায় দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের (Saigal Hossain) উপর চাপিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। জানা গিয়েছে দিল্লিতে মেয়ে সুকন্যাকে ডাকতেই মুখ খুলেছেন অনুব্রত। একদিকে যখন মেয়ে-বাবাকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে বসিয়ে কেষ্টর সমস্ত কীর্তি ফাঁস করার ছক কষছিল ইডি, ঠিক তখনই নিজের অবস্থান বদল করছে কেষ্ট।
যতদূর জানা গিয়েছে, ইডির জেরায় অনুব্রত দাবি করেছেন, এনামুল হক নামে কাউকে তিনি চেনেন না। গরু পাচার তো দূর, কারও থেকে এক পয়সা নেননি তিনি। এনামুলের প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেও সায়গল কিছু করে থাকলেও সে বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলেও দাবি অনুব্রতর। তবে কী মেয়ের ডাক পড়তেই সায়গল বিষয়ে এই মন্তব্য অনুব্রতর? ইডির ধারণা মেয়েকে আড়াল করতেই এই মন্তব্য করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, আপাতত কিছুদিন দিল্লিতেই থাকতে হবে অনুব্রতকে। বর্তমানে দিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালত কেষ্টর আরও ১১ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই দুর্নীতির গোড়ায় পৌঁছতে চাইছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই নানা বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যেও এসেছে। এরই মধ্যে আগামী বুধবারই অনুব্রত কন্যা সুকন্যাকে দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন পরবর্তীতে এই মামলা কোন মোড় নেয় সেটাই এবার দেখার বিষয়।