বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরুপাচার মামলায় টানা ১৫ মাস জেলবন্দি। অবশেষে মঙ্গলবার জামিন পেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। গত বছর এপ্রিল মাসে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। তিহাড় জেলে দিন কাটছিল কেষ্ট-কন্যার (Anubrata Mondal)। মঙ্গলবার জামিনের আর্জি মঞ্জুর হতেই উৎসবের মেজাজ বীরভূমের আটকুলা গ্রামে।
সুকন্যা জামিন পেতেই ভোজের আয়োজন (Anubrata Mondal)!
গতকাল ১০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে অনুব্রত-কন্যার জামিন মঞ্জুর করেছে দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। শর্ত সাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়েছে তাঁকে। বিচারপতি নীনা বনশল কৃষ্ণা জানিয়েছেন, মামলার শুনানির সময় নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে হবে সুকন্যাকে। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, এই মামলা চলাকালীন অনুমতি ব্যতীত বিদেশযাত্রা করতে পারবেন না তিনি।
- আটকুলা গ্রামে ‘বিশেষ’ আয়োজন তৃণমূল নেতার
বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচার মামলায় এখনও জেলবন্দি। তবে পুজোর আগে ঘিরে ফিরছেন সুকন্যা (Sukanya Mondal)। গতকাল তাঁর জামিন মঞ্জুর হতেই ভোজের আয়োজন করেন অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ নেতা আব্দুল করিম খান। গতকাল রাতে নানুরের আটকুলা গ্রামে মাংস ভাত খাওয়ালেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ‘হাইকোর্টের দৃঢ় পদক্ষেপ হওয়া উচিত’! বিচারকদের আবাসনে দুষ্কৃতী হানা, তোলপাড় রাজ্য
জানা যাচ্ছে, গতকাল রাতে গোটা গ্রামকে খাওয়ানোর বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। মেন্যুতে ছিল ভাত, আলুপোস্ত, মাংস এবং চাটনি। বিগত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলবন্দি থাকার পর সুকন্যা জামিন পেতেই খুশিতে মাতোয়ারা বীরভূমের তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা কর্মীরা। সেই আনন্দ থেকেই গতকাল রাতে এই ভোজের আয়োজন করা হয় বলে খবর।
গরু পাচার মামলায় সুকন্যা গ্রেফতার হওয়ার সাড়ে আট মাস আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। এরপর দিল্লিতে দু’বার ইডির হাজিরা এড়ান সুকন্যা। তৃতীয়বার ইডির ডাকে সাড়া দিয়ে রাজধানী পৌঁছতেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। অভিযোগ করা হয়, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তদন্তে অসহযোগিতা করছেন কেষ্ট-কন্যা।
এদিকে গরু পাচার মামলায় সুকন্যা জামিন পেলেও অনুব্রতর ঠিকানা এখনও তিহাড়ই। জেলের চার দেওয়ালের মধ্যেই বন্দি তৃণমূল নেতা। তবে গতকাল তাঁর মেয়ে জামিন পাওয়ার পর কেষ্ট জামিনের পথও প্রশস্ত হল বলে মনে করা হচ্ছে। অনুব্রতও (Anubrata Mondal) খুব তাড়াতাড়ি ঘরে ফিরবেন বলে আশা করছেন তাঁর আত্মীয় এবং অনুগামীরা। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতার দাদা সুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘আমরা এই দিনটার অপেক্ষাতেই ছিলাম। পুজোর আগে ঘরের মেয়ে ঘরে ফিরে আসবে এতে পরিবারের সবাই খুশি। আশা করছি, ভাই কেষ্টও শীঘ্রই ফিরে আসবে’।