বাংলা হান্ট ডেস্ক: বহু কাঠ খড় পুড়িয়ে অবশেষে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) নিয়ে দিল্লি পাড়ি দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ওরফে ইডি। বর্তমানে ইডি (ED) হেফাজতেই আছেন ‘বীরভূমের বাঘ’। গতবছর রাখি পূর্ণিমায় বীরভূমের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল সিবিআই, আর এই বছর দোলের দিন গরু পাচার কাণ্ডে তাকে নিয়ে বাংলা ছাড়ল ইডি। প্রায় সাত মাস হতে চলল বাড়িছাড়া কেষ্ট। বাবার দিল্লি যাত্রা নিয়ে বেজায় মন খারাপ কেষ্ট-কন্যা সুকন্যার (Sukanya Mondal)। শরীরও ভালো নেই বলেই জানান তিনি।
কেমন আছে কেষ্টর সু-কন্যা? একসময় যেই বাড়ি কেষ্টর দাপটে গমগম করত সেই বাড়ির ছবি একেবারেই পাল্টে গিয়েছে বিগত কয়েকমাসে। বাবা দিল্লিতে আর বীরভূমের বোলপুরের একলা কেষ্টর আদরের ‘রুবাই’, মানে সুকন্যা। এতদিন জেলবন্দি থাকলেও বাংলার সীমানার মধ্যেই ছিলেন অনুব্রত। মঙ্গলবার একেবারে দিল্লি নিয়ে যাওয়ায় মন খারাপ বেড়েছে সুকন্যার।
অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পর তার বাড়িতে সংবাদমাধ্যম পৌঁছলে ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে নিরাপত্তারক্ষী। সুকন্যাও তখন বাড়িতেই। তবে স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতিতে ক্যামেরার সামনে আসতে চাননি তিনি। নিরাপত্তারক্ষী বলেন, সুকন্যা জানিয়েছেন, তার মন কিংবা শরীর কোনওটাই ঠিক নেই। তাই তিনি এখন কারও সাথে কথা বলতে প্রস্তুত নন।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর মঙ্গলবার বাংলা ছেড়ে অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে দিল্লি পাড়ি দিয়েছে ইডি। সেদিন মধ্যরাতেই তাকে হাজির করা হয় আদালতে। টানটান উত্তেজনার মধ্যে বিচারকের বাড়িতে সওয়াল-জবাব পর্ব শেষ হয় কেষ্টর। শুনানি শেষে যখন ইডি-র লক আপে ঢোকানো হয়, সময় তখন রাত দুটো। বুধবার দুপুরে রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে তার স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয়। এরপর থেকেই শুরু হয়েছে টানা জিজ্ঞাসাবাদ। শুক্রবার দুপুরে কেষ্ট মণ্ডলকে তোলা হবে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে।