বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত ১৪ দিন ধরে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। গরু পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য হাতে এসেছে সিবিআইয়ের। এদিন ফের একবার আসানসোলে (Asansol) সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তোলা হতে চলেছে কেষ্টকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্ভবত আজই তাঁর জামিনের আবেদন করা হতে চলেছে। তবে এর মাঝে গতকাল অনুব্রত কাণ্ডে আদালতের বিচারককে হুমকি চিঠি দেওয়াকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। বিচারককে মাদক মামলায় ফাঁসানোর হুমকি চিঠিটি কে প্রদান করেছে, তা নিয়ে সন্দিহান সকলে। এর মাঝেই এদিন আদালতে যাওয়ার মুহূর্তে অনুব্রত জানালেন, “বিচারককে হুমকি চিঠি দেওয়ার ঘটনায় আমি সিবিআই তদন্ত চাইবো।”
উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় সম্প্রতি সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল। পরবর্তীতে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে উঠে এসেছে। এর মাঝেই আবার গতকাল আদালতের বিচারককে উদ্দেশ্য করে একটি হুমকি চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়, যেখানে লেখা থাকে, “অনুব্রত মণ্ডলকে জমিন না দিলে আপনি এবং আপনার পরিবারকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে।” এ ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। এর মাঝে এদিন ফের একবার আদালতে তোলা হতে চলেছে তৃণমূল নেতাকে।
গতকালের হুমকি চিঠি প্রসঙ্গ এদিন অনুব্রতর জামিন মামলায় প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অবশ্য এ সকল নিয়ে ভাবতে নারাজ কেষ্ট। তিনি জানান, “আমি জজসাহেবকে বলবো। ওনাকে হাতজোড় করে বলবো। আমি এই মামলায় সিবিআই তদন্ত চাই।” অতীতে একাধিক সময় সিবিআই এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিতে দেখা যায় তৃণমূল কংগ্রেসকে। তবে এদিন অনুব্রত মণ্ডলের গলায় সিবিআই তদন্তের দাবি স্বাভাবিকভাবেই জল্পনার সৃষ্টি করেছে।
উল্লেখ্য, গতকাল বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীকে উদ্দেশ্য করে একটি হুমকি চিঠি দেওয়া হয়। তবে সেখানে প্রেরকের জায়গায় লেখা থাকে বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের নাম। পরবর্তীতে তাঁকে ধরা হলে তিনি এক প্রকার হতবাক হয়ে পড়েন। হুমকি চিঠি পাঠানো প্রসঙ্গে বাপ্পা জানান, “আমি এ প্রসঙ্গে কিছু জানি না। সই এবং স্ট্যাম্প নকল করা হয়ে থাকতে পারে। আমি চাই, এ বিষয়ে তদন্ত হোক।” এদিন অবশেষে অনুব্রত মামলায় আদালতের রায় কি হয়, সেটাই বড় প্রশ্ন চিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে জামিন প্রসঙ্গে এদিন অনুব্রতর সাফ জবাব, “সেটা আদালত বলবে।”