বাংলাহান্ট ডেস্ক : বোলপুর থানার আইসিকে অশ্লীল গালিগালাজের অভিযোগে এফআইআর দায়ের হয়েছে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে। শনিবার সকাল ১১ টা নাগাদ তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। বোলপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের অফিসে তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই মতও প্রস্তুতিও নেওয়া হয় পুলিশের তরফে। কিন্তু এদিন নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও দেখা মেলেনি অনুব্রতর (Anubrata Mondal)।
শনিবার পুলিশি হাজিরা এড়িয়ে গেলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)
উল্লেখ্য, এদিন সকালেই এসডিপিও অফিসে পৌঁছেছিলেন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক। ঋকি আগরওয়াল। তবে বেলা ১১ টা বেজে গেলেও অনুব্রতর দেখা মেলেনি। তাঁর পরিবর্তে বেলা ১১ টার কিছু আগে এসডিপিও অফিসে পৌঁছান অনুব্রতর পাঁচজন আইনজীবী। কিছুক্ষণ পরে তাঁরাও ফিরে যান। অনুব্রতর (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর বলছে, শনিবার তিনি হাজিরা নাও দিতে পারেন। পরিবর্তে সোমবার জেলা আদালত কিংবা কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করতে পারেন তিনি।
সোমবার করতে পারেন বড় পরিকল্পনা: অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা যাচ্ছে, তাঁর বিরুদ্ধে মোট চারটি ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে, যার মধ্যে দুটি জামিন অযোগ্য ধারা। তাই ওয়াকিবহাল মহলের মতে, জামিন পেতে জেলার পাঁচজন আইনজীবীকে নিয়ে একটি বিশেষ কমিটিও গঠন করেছেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। তাঁদের কথা মতোই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তিনি।
আরো পড়ুন : সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় বড় নির্দেশ শীর্ষ আদালতের
শুক্রবার দেওয়া হয় নোটিশ: উল্লেখ্য, ভাইরাল অডিও ক্লিপের ভিত্তিতে নবান্নের নির্দেশে অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ। তারপরেই চার ঘন্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় তৃণমূল নেতাকে। অনুব্রত (Anubrata Mondal) তড়িঘড়ি ক্ষমা চাইলেও নোটিশ এড়াতে পারেননি।
আরো পড়ুন : আইনের রক্ষককেই মা-বউ তুলে অশ্লীল গালিগালাজ! এর পরিণতি ঠিক কী হতে পারে? কী কী পদক্ষেপ নিতে পারে পুলিশ?
শনিবার অনুব্রতর হাজিরা দেওয়ার কথা থাকায় সকাল থেকেই এসডিপিও অফিস ব্যারিকেডে মুড়ে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু সকাল ১০ টার পরেই সরিয়ে ফেলা হয় ব্যারিকেড। ১১ টা বাজার কিছুক্ষণ আগে আসেন অনুব্রতর আইনজীবীরা।