চিন থেকে ডাক্তারির পড়াশোনা! অনুব্রতর চিকিৎসক হিটলার আসলে কে? সামনে একাধিক তথ্য

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে বোলপুর থানার আইসি-কে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। একাধিকবার তাঁকে তলব করেছে পুলিশ। তবে সাড়া দেননি তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা। রবিবার সকাল ১১টায় বোলপুরের এসডিপিও অফিসে তলব করা হয়েছিল কেষ্টকে। সেদিনও নিজে হাজির না হয়ে আইনজীবীদের পাঠিয়েছিলেন তিনি। একটি মেডিক্যাল সার্টিফিকেট জমা দিয়ে জানানো হয়, অনুব্রতকে পাঁচদিনের ‘বেড রেস্টে’র পরামর্শ দিয়েছে চিকিৎসক। সেই সূত্রেই শিরোনামে উঠে আসেন কেষ্টর ডাক্তার হিটলার চৌধুরী (Dr. Hitler Chowdhury)।

চিন থেকে পড়াশোনা অনুব্রতর (Anubrata Mondal) ডাক্তারের!

কেষ্ট যে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট জমা দিয়েছিলেন সেখানে নাম ছিল চিকিৎসক এইচ চৌধুরীর। পাশেই লেখা ছিল রেজিস্ট্রেশন নম্বর। সেই রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে WBMC পোর্টালে গিয়ে সার্চ করতেই জানা যায়, এইচ চৌধুরীর পুরো নাম হিটলার চৌধুরী। চিনের কুমকুমিং প্রদেশের একটি কলেজ থেকে ডাক্তারির পড়াশোনা করেছেন। পরবর্তীতে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে নিজের নাম নথিভুক্ত করান।

এর পাশাপাশি ডক্টর চৌধুরীর বিষয়ে আরও বেশ কিছু তথ্য সামনে এসেছে। অনুব্রতর জমা দেওয়া মেডিক্যাল সার্টিফিকেটে দেখা গিয়েছে, সেখানে ডাক্তার হিটলার চৌধুরীর নাম, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও স্বাক্ষর আছে। তবে সেটি শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের প্যাডে লেখা। একদিকে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের অধীন হেলথ সার্ভিসে রামপুরহাট ১ নং ব্লকের BMOH। চকমণ্ডলা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তিনি কর্মরত। অন্যদিকে সেই চিকিৎসকই কিনা একটি একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চাকরি করছেন!

আরও পড়ুনঃ পুলিশকে হুমকি দিয়ে পুড়ল কপাল! সাসপেন্ডেড TMCP নেতাকে বাড়ি থেকে বের করে দিলেন বাবা

খোঁজ নেওয়ার পর জানা যায়, সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল আবার কেষ্ট ঘনিষ্ঠ মলয় পিটের। সেখানকার রেসিডেন্সিয়াল মেডিক্যাল অফিসার হিটলার। প্রত্যেক মাসে বেতনও পান বলে খবর। এখন প্রশ্ন হল, একজন সরকারি স্বাস্থ্য আধিকারিক কীভাবে একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চাকরি করতে পারেন?

anubrata mondal

এখানেই শেষ নয়! অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দেওয়ার পর থেকে ডক্টর চৌধুরীর ‘খোঁজ’ পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁর কর্মস্থল, ফ্ল্যাট কোথাও তাঁর দেখা মেলেনি। এমনকি ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না বলে খবর। কোথায় গেলেন এই চিকিৎসক? স্বভাবতই দেখা দিয়েছে এই প্রশ্ন।

Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

X