গরু পাচার মামলায় এবার দুই জোড়া তলব ED-র! নাম শুনেই ঘুম উড়ল কেষ্টর, তালিকায় কারা?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) গত বছর অগাস্ট মাসে সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তারপর থেকে জেলেই রয়েছেন তিনি। বর্তমানে এই নেতার দিন কাটছে তিহাড় জেলে। এরই মধ্যে এবার গরু পাচার মামলায় এবার অনুব্রত মণ্ডলের চারজন ঘনিষ্ঠকে তলব করল ইডি। বিপদ বাড়লো কেষ্টর?

ইডি (Enforcement Directorates) সূত্রে খবর, এবার গরু পাচার মামলার জিজ্ঞাসাবাদে একজন আইনজীবী, দুজন পৌরসভার কর্মী এবং একজন কাউন্সিলরকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল ইডির খান মার্কেটের দফতরে তাদের সকলকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

চলতি বছরেই ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছে কেষ্ট কন্যা সুকন্যা মণ্ডলও। সেও রয়েছে তিহাড়েই। সম্প্রতি জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলেন সুকন্যা। যদিও কেষ্ট কন্যার আবেদন দিল্লি হাইকোর্টে খারিজ হয়ে যায়। এরপর শুনানি পুজোর পর। সুতরাং এবছর তিহাড়েই কাটতে চলেছে সুকন্যা দুর্গাপুজো।

আরও পড়ুন: প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে ৫২৯৮ টি শুন্য পদে নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য সরকার! কাদের খুলছে কপাল?

অন্যদিকে গরু পাচার মামলায় সম্প্রতি জামিন পেয়েছেন অনুব্রতের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি। চলতি বছরের শুরুতে তাকে দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরে ডেকে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেপ্টেম্বর মাসে দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশে তিনি জামিন পান।

anubrata jail s

মার্চ মাসে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরই কাঁদো কাঁদো গলায় মনীশ বলেছিলেন, ‘‘আমি কিচ্ছু করিনি। কোনও ভুল করিনি। আমার একমাত্র ভুল চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট (সিএ) হওয়া।’’ যদিও তার বিরুদ্ধে ইডির হাতে বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছিল। তবে গত মাসেই জামিন পেয়ে যান তিনি।

কোঠারি জামিন পেতেই অনুব্রতর জামিন নিয়েও নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। তাহলে কী বীরভূমের বাঘের বাংলায় ফেরার কোনও চান্স রয়েছে? এই প্রশ্নই যখন উঠছিল, এরই মধ্যে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ চার জনকে ইডির তলব। এবার পরবর্তীতে এই মামলা কোন মোড় নিতে চলেছে সেটাই দেখার।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর