এই একটি কারণে হাজিরা দিতে পারলেন না অনুব্রত! আসানসোল আদালতেই ঝুলে রইল নেতার ভাগ্য

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) গতকাল আদালতে হাজিরাই দেওয়া হল না ‘বীরভূমের বাঘ’ অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। হলনা মামলার শুনানিও। সূত্রের খবর, বহু চেষ্টা করেও তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনও ভাবেই অনলাইনে সংযোগ করতে পারে নি আসানসোল আদালত। ফলে বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ভাগ্য আপাতত ঝুলে রইল।

পাশাপাশি হাজিরা দিতে পারেননি অনুব্রত মন্ডলের দেহরক্ষী সাইগল হোসেনও। ফলে জামিনের আবেদনও করতে পারলেন না তাদের আইনজীবীরা। সূত্রের খবর, আগামী ১০ অগাস্ট এই মামলাটির পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক।

প্রসঙ্গত, আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে গরু পাচার সংক্রান্ত মামলা চলছে। এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডলকে শুক্রবার শুনানিতে ভার্চুয়ালি হাজির করানোর কথা থাকলেও এদিন তাকে হাজির করানো সম্ভব হয়নি। ফলে সেই মামলাটির কোনও শুনানি না হওয়ায় আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতেই আপাতত মামলাটি ঝুলে রইল। ঝুলে রইল সাইগলের ভাগ্যও।

এই বিষয়ে অনুব্রতর আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ জানিয়েছেন, ভার্চুয়ালি তাদের হাজির করানো সম্ভব হয়নি তাই বিচারক মামলাটির শুনানির জন্য ১০ অগাস্ট দিনটি ধার্য করা হয়েছে। প্রসঙ্গত গরু পাচার মামলায় গত বছর অগাস্ট মাসে অনুব্রতকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তারপর থেকে প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ছাড়া পাননি এই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা।

anubrata saigal m

বারবার জামিনের আবেদন করেও কোনও সুরাহা হয়নি। উল্টে হাজারো নতুন অভিযোগ উঠে এসেছে কেষ্টর বিরুদ্ধে। অন্যদিকে গরু পাচার মামলায় তিহাড় জেলেই বন্দি অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলও। গত বৃহস্পতিবার খবর পাওয়া যায় জেলেই হঠাৎ অসুস্থ হয়েছে পড়েছেন সুকন্যা। তারপর সেদিনই তাকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় জেল হাসপাতালে।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর