বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরু পাচার মামলার (Cow Smuggling Case) তদন্তে বর্তমানে দিল্লিতে (Delhi) ইডি (ED) হেফাজতে রয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondol)। গত সপ্তাহে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার সময় পথে বিমানবন্দরেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অনুব্রত। এবার ফের অসুস্থ কেষ্ট। শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার অনুব্রতর আইনজীবী সম্পৃক্তা ঘোষাল জানান, ইডি হেফাজতে কেষ্টর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে এমনকি রাতে দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই নেতাকে অক্সিজেনও দিতে হচ্ছে বলে দাবি তার আইনজীবীর।
গত বছর রাখি পূর্ণিমার দিন সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত, পরে এই মামলার তদন্তে নেমে ইডিও তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারির পর থেকেই বারংবার অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনেরও আবেদন জানান তিনি। তবে আদালত তরফে সেই আবেদন মঞ্জুর করা হয়নি। দিল্লি পাড়ি দেওয়ার আগে বহুদিন আসানসোল জেলে বন্দি ছিলেন তিনি, সেখানে থাকাকালীনও একাধিক বার অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে দাবি করে কেষ্ট ও তার আইনজীবী।
অনুব্রতর আইনজীবী জানিয়েছেন দীর্ঘদিন ধরেই ইনহেলার ব্যবহার করেন তার মক্কেল। বর্তমানে শ্বাসকষ্ট বেশি হওয়ায় ইনহেলারের ব্যবহার আগের তুলনায় অনেকটা বেড়েছে বলেও জানানো হয়। শনিবার কেষ্ট মণ্ডলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে বলে দাবি তার আইনজীবীর। তবে এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে কোনও খবর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, আসানসোল জেলে থাকাকালীন তার ফিসচুলা সমস্যার কথাও জানা গিয়েছিল। তবে পরে অবশ্য যথাযথ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।
অন্যদিকে, কেষ্টর গ্রেফতারির পর থেকেই তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে তার ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যক্তি। একে একে তাদের দিল্লিতে ডেকে পাঠাচ্ছে ইডি আধিকারিকরা। সংস্থার ডাকেই শুক্রবার দিল্লিতে হাজিরা দেন কেষ্টর বাড়ির রাঁধুনি ও লাভপুর কলেজের শিক্ষাকর্মী বিজয় রজক। ইডির নির্দেশ মতো দুদিন আগেই ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন অনুব্রতর হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারি। তবে দীর্ঘ জেরার পর তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে গ্রেফতার হন তিনি।
দিল্লিতে ইডি হাজিরা উপেক্ষা করার পর ফের তলব করা হয়েছে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে। পাশাপাশি শক্তিগড়ে কেষ্টর কচুরির দাম মেটানো কৃপাময়কেও ইডি ডেকে পাঠায় বলে সূত্রের খবর অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পরই তার ঘনিষ্ঠ ১২ জনকে রাজধানীরে তলব করেছিল ইডি। অভিযুক্ত কেষ্টর মুখোমুখি বসিয়ে তাদের জেরা করা হবে বলেও জানা যায়।